আব্রাহাম লিংকন: শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চী ভূমিদস্যু প্রাক্তন মেম্বার গফ্ফার তরফদার জিরো থেকে হিরো হয়েছে। এলাকা সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ১৯৭৮ সালে কৈখালী ভূমি অফিসের তহশীলদারকে ধরম পিতা বলে অফিসে চা দেওয়ার কাজে কর্মরত ছিল আব্দুল গফ্ফার। তহশীলদার তার সৎ ব্যবহার দেখে কালিঞ্চী মৌজায় কিছু ভিপি জমি ইজারা দেয়। পরে ১৯৭৯ সালে ভূমি অফিস থেকে রেজিষ্টার চুরি করে নিয়ে যায়। যার ফলে তহশীলদারের চাকুরীর উপর উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের বেশ চাপ সৃষ্টিও হয়। সেই থেকে শুরু হয় গফ্ফারের জাল সেটেলমেন্ট। একের পর এক জমি জাল সেটেলমেন্ট করে ৪শ বিঘা জমি তার নিজের নামে সহ পরিবার ও আতœীয় স্বজনের নামের সম্পত্তির কোন হিসাব বিবরণী ভূমি অফিসে দাখিল করেনি এবং সরকার কে কোন ইনকাম ট্যাক্স না দিয়ে রাজত্ব কায়েম করছে। ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৩ সাল এবং ২০০৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত রমজান নগর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার হয়ে লাখ লাখ টাকা আতœসাৎ করে। কালিঞ্চী ও টেংরাখালী গ্রামের সবগুলো সরকারী খাস খাল অর্থের বিনিময়ে ডিসিআর কেটে মৎস্য চাষ করে আসছে এবং কাল্পনিক ব্যক্তির নামে জমি রেখে প্রশাসনের নজরের বাইরে শত শত বিঘা জমির হারির টাকা ভারতে তার বড় মেয়ে ফরিদা পারভীনের কাছে পাচার করে দেশের ক্ষতি করছে। গফ্ফার তরফদার জাল সেটেলমেন্ট সহ সরকারী খাস খাল দখল করে বিক্রি করে বাংলাদেশ ছাড়বে এমন ধরনের গুঞ্জন এলাকায়। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে এলাকায় সেটেলমেন্ট করে জমি দখলের অভিযোগও আছে। সব জায়গায় অর্থর বিনিময়ে সেটেলমেন্ট সহ কাগজ পত্রের কাজ করে আসছে। যখন যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলকে ব্যবহার করে স্থানীয় প্রশাসনকে নিজের কব্জায় করে রাখে। ২০০৩ সাল থেকে কৈখালী ও কালিঞ্চী পথে অবৈধ ভাবে ভারত থেকে উপরি মহল ম্যানেজ করে গরু আনা সহ মাদক বাংলাদেশে এনে, রাতের আধাঁরে এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মাঝে চড়া দামে বিক্রয় করে রাতারাতি অর্থশালী হয়ে উঠে। বর্তমানে গফ্ফার নিজে ২ সেলেন্ডার ডুএস ইঞ্জিনের একটি বড় নৌকা (ট্রলার) কিনে গরুর ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে এবং সাথে মাদকদ্রব্যও। এভাবে দেড়শ একর জমির মালিক হয়েছেন গফ্ফার তরফদার। এ বিষয়ে আব্দুল গফ্ফার বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা । এর আগেও অনেক পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। আপনার যা ইচ্ছা আপনি লেখেন।
শ্যামনগরে কালিঞ্চী ভূমিদস্যু প্রাক্তন মেম্বার গফ্ফার তরফদার জিরো থেকে হিরো!
পূর্ববর্তী পোস্ট