আব্রাহাম লিংকন, নিজস্ব প্রতিনিধি: শ্যামনগরে কৈখালীতে ইটের সোলিং এর সরকারী গাছ কাটার হিড়িক পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, বৈশখালী গ্রামের সরকারী ইটের সোলিং এর পাশ দিয়ে গড়ে উঠা সরকারী গাছ কেটে বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একদল কু-চক্রী মহল। এলাকা সূত্রে জানাযায়, ২০১৩ সালে জামায়াত শিবিরের তান্ডব চলা কালে বৈশখালী গ্রামের ইসমাঈল গাজীর পুত্র মফের উদ্দীন, জুব্বার শেখের পুত্র হাফিজুর রহমান, ধনা গাজীর পুত্র আনছার আলী, আমির গাজীর পুত্র তেরা গাজী, বেলাত গাজীর পুত্র ফজলু গাজী, মফেজ মিস্ত্রীর পুত্র সমশের মিস্ত্রী, এফাজতুল্ল্যহ গাজীর পুত্র রাজ্জাক গাজী, কেরামত গাজীর পুত্র কান্টু গাজী বহু গাছ কেটে আতœসাৎ করেছিলো। বর্তমানে সেই সুবাদে নতুন করে গাছ বিক্রয়ের লোভ সামলাতে না পেরে আবারও তারা গাছ কাটা শুরু করেছে। এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের নজদারির অভাবের কারনে সরকারী গাছ কাটার বিষয়ে মন্তব্য করে কেরামত গাজীর পুত্র কান্টু গাজী বলেন, আমার জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা গেছে তাই আমি গাছ কাটি আর যা হয় করি আমার খুশি। বর্ষার মৌসুমের পর আমি এই রাস্তার উপর দিয়ে পাঁচিল দেবো দেখি কে কি করতে পারে। কার বুকের পাটা আছে আমাকে থামাতে পারে। এমন ধরনের উক্তি করাতে এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে গাছ কাটা নিয়ে উৎসাহ ঘিরে দাড়িয়েছে। পল্লীবিদ্যুৎ লাইন যাওয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে সরকারী গাছ কেটে নিজেদের পকেট ভরছে। হাফিজুর রহমানের জামাতা মুছার নিকট গাছ কাটার বিষয় জানতে চাইলে রাগান্বিত কন্ঠে বলেন, আমার শশুর গাছ কেটেছে তাতে কি ? রাস্তার পাশের গাছ কেটেছে তাতে কি হয়েছে ? আর আপনাদের কি ? স্থানীয় মেম্বার মোহাম্মাদ আলী কাগুচী বলেন, আমি কি বলবো এই ওয়ার্ডটা চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের নিজের ওয়ার্ড, এই জন্য আমি কিছু করতে বা বলতে পারি না। মহিলা মেম্বার মোছা: সাহিদা বেগম বলেন, আমি বিষয়টি দেখছি ! চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিমের ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
শ্যামনগরে কৈখালীতে ইটের সোলিং এর সরকারী গাছ কেটে উজাড় : প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
পূর্ববর্তী পোস্ট