নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই মাস সমুদ্রে মৎস্য আহরন বন্ধ থাকাকালীন জেলেদের অনুকূলে সরকারের দেওয়া চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলে প্রতি সাড়ে ৪৬ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও তারা চাল পেয়েছেন ৪০ কেজিরও কম। শ্যামনগরের পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কার্ডধারী জেলেদের অভিযোগ তারা প্রতিজন যে চাল পেয়েছেন তা বরাদ্দ অপেক্ষা ৫ থেকে ৬ কেজি কম। এই ইউনিয়নে ২৫৮৮ জেলে পরিবারের মধ্যে এই চাল রোববার বিতরন শুরু হয়েছে। চেয়ারম্যান জানান পাখিমারা খেয়াঘাটে জেলেদের হাতে এই চাল তুলে দেওয়া হয় । এ সময় তিনি নিজেও উপস্থিত ছিলেন। জেলেদের চাল কম দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান অস্বীকার না করেই বলেন নোয়াবেকি খাদ্য গুদাম থেকে প্রায় ১২০ টন চাল তার ইউনিয়নে নদী পার করে আনতে সরকার কোনো ব্যয় বরাদ্দ দেননি। অথচ সব মিলিয়ে প্রায় আশি হাজার টাকা মতো ব্যয় হয়েছে। এই টাকা পুষিয়ে নিতে জেলেদের মাথাপ্রতি চাল ১ থেকে ২ কেজি কম দেওয়া হতে পারে । এর সাথে দুর্নীতির কোনো যোগসূত্র নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন গোডাউন থেকে চাল গ্রহন ও তা বিতরনের দায়িত্ব পালন করেছেন ট্যাগ অফিসার প্রণব কুমার ও ফিসারিজ অফিসার মো. ফারুক হোসেন। চেয়ারম্যান হিসাবে তিনি নিজে কেবলমাত্র হিসাব সংরক্ষন করেছেন বলে দাবি করেন চেয়ারম্যান আতাউর ।
শ্যামনগরে জেলেদের চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট