শ্যামনগর থানার এএসআই সাইফুল ও মনিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 104 ভিউস

আব্রাহাম লিংকন : শ্যামনগর থানার এএসআই সাইফুল ও এএসআই মনিরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজীর অভিযোগ উঠেছে। এলাকা সূত্রে জানাগেছে, গত শনিবার রাত্র আনুমানিক ১০.৩০ সময়ে উপজেলার ধুমঘাট গ্রামের আলিম গাজীর মেয়ে বুশরা আক্তার পাখির সাথে দীর্ঘদিন প্রেমের সুবাদে শ্রীফলকাটি গ্রামের সেলিম গাজীর পুত্র তাওহিদ দেখা করতে আসে। পাখির মা মাকছুদা বেগম শ্যামনগর পেঙ্গুইনে মাছের কাজে সারা রাত ব্যাপি কাজ করার সুযোগে তাওহিদ বুশরা আক্তার পাখির ঘরে প্রবেশ করে। শ্যামনগর থানার এএসআই সাইফুল ও এএসআই মনির আসামী ধরার উদ্দেশ্যে বাড়িতে প্রবেশ করে আলিমকে খুঁজতে থাকে। ঐ সময়ে বুশরা আক্তার পাখি ও তাওহিদ গাজীকে একই ঘরে দেখতে পায়। এএসআই মনির তাওহিদের পরিচয় জেনে তাওহিদের হাতে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে দেয় এবং বলে তুই এখানে কি করছিস? চল থানায় যেতে হবে। পাখি বাধা দিতে গেলে তাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বুশরা আক্তার পাখি জানায়, আমার চাচা ঘটনাস্থলে এসে এএসআই সাইফুল ও এএসআই মনিরের সাথে তাওহিদকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বললে তারা ২০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে ৫ হাজার টাকা দিয়ে তাওহিদকে ছাড়িয়ে নেয়। এ বিষয়ে রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে ঘটনা জানতে পেরে বুশরা আক্তার পাখির মা মাকছুদা বেগম বলেন, আমার স্বামি বা আমি বাড়ীতে না থাকার সুযোগে এই দুই পুলিশ ভয় দেখিয়ে টাকা নিয়ে গেছে। কি বলবো পুলিশের উপর কথা বলতে গেলে তো জেলে ঢুকিয়ে দিবে। তাওহিদ ও আমার মেয়ে পাখির সাথে অনেক দিন আগে থেকে বিয়ে ঠিক করা আছে। এ বিষয়ে তাওহিদ মোবাইল ফোনে বলেন, বুশরা আক্তার পাখির সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, তার সাথে আমার বিয়ে ঠিক করা। এএসআই সাইফুল ও এএসআই মনির এর নিকট জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!