সরকারি রাস্তা কেটে সাঁকো নির্মাণের অভিযোগ

কর্তৃক porosh
০ কমেন্ট 15 ভিউস

জাতীয় ডেস্ক:

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৎস্য ঘেরে পানি তোলার প্রয়োজনে রাস্তা কেটে সেখানে সাঁকো নির্মাণ করে দিয়েছেন এক ঘের ব্যবসায়ী। এর ফলে ২ গ্রামের শতশত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হয় বৃদ্ধ ও নিকটস্থ বিদ্যালয়ের শিশুদেরকে। বহরবুনিয়া ইউনিয়নের উত্তর ফুলহাতা গ্রামের ১৪০ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি কেটে ৮০ বিঘা জমির ঘেরে পানি ওঠানামা করাচ্ছেন আবু হোসেন হাওলাদারের ছেলে কামরুল হাসান বাবুল।

এ ছাড়াও ঘেরের প্রয়োজনে ওই রাস্তা থেকে ভেকু মেশিন চালিয়ে বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দের সৃষ্টি করেছেন কামরুল হাসান। রাস্তাটি ব্যবহার করছেন তিনি ঘেরের ভেরি হিসেবে। ফলে রাস্তা রক্ষার জন্য সরকারি টাকায় দেওয়া বাশের পায়লিং ধসে ঘেরের মধ্যে চলে গেছে। এতে স্থানীয়দের মনে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। কৃষক মজিদ শিকদার, বাচ্চু খান, শান্তি রানি তাফালী, দুলালী রানী বলেন, গ্রামের কোন মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে উপজেলা শহরে নেওয়ার কোন পথ নেই। ব্যক্তিস্বার্থে সরকারি রাস্তা কেটে সাঁকো দেওয়া হয়েছে।

বহরবুনিয় ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের সাথে সংযোগ স্থাপন করে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ রাস্তাটি ১৪০ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে থেকে নারিকেল বাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় হয়ে জিউধরা ইউনিয়নের সাথে যুক্ত হয়েছে। প্রায় ৫ বছর ধরে এ দুর্ভোগ মোকাবেলা করে পথ চলছেন স্থানীয়রা। গত ৬ মার্চ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মো. ফরিদ হোসেন, এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রকার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বাবুল বলেন, রাস্তাটি আমি ঘেরের প্রয়োজনে কেটেছে। শীঘ্রই ওখানে একটি কাঠের পুল তৈরি করে দিব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস.এম তারেক সুলতান বলেন, বহরবুনিয়ার সরকারি রাস্তা কাটার অভিযোগ পেয়েছি। রাস্তা কেটে জন ভোগান্তি সৃষ্টি করার কারও অধিকার নেই। খোঁজ নিয়ে ঘের ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!