ইয়ারব হোসেন: বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম হত্যা মামলার ক্লু উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিশ। সদর থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতারকৃত তিন কিলার হত্যার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। জেলখানায় আটক আকবরের পরিকল্পনায় তার ছেলে খাইবারের নেতৃত্বে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিসেট্রট আদালতে তিনজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। একটি দায়িত্বশীল সুত্রে জানা যায়, সদরের কুচপুকুর গ্রামের জামাত সমর্থক আকবর আলি সহ কয়েক পরিবারের সাথে একই গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল ইসলামের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন। বিরোধকে কেন্দ্র করে একের পর এক হত্যা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
যে ভাবে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ সেতা নজরুলকে: সদরের কুচপুকুর গ্রামের জামাত সমর্থক আকবর আলি বর্তমানে জেলখানায় একটি মামলায় আটক রয়েছে। জেলে বসে তার ছেলে খইবার কয়েক দফা বৈঠক করে। চুড়ান্ত করা হয় হত্যা মিশন। দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। খাইবার বাইরে থেকে এক কিলারকে আগে থেকে এলাকায় নিয়ে আসে। ঘটনার দিন সকাল থেকে বাইরে থেকে আসা ওই কিলার ও খইবারের নেতৃত্বে কুচপুকুর গ্রামের জামাত সমর্থক মুকুল, রিয়াদ এলাকায় অবস্থান নেয়। আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলামের গতিবিধির ওপর নজরদারি চালাতে থাকে। এমনকি তাকে ফলো করে মটর সাইকেলে রেকি করতে থাকে। নজরুল ইসলাম কদমতলা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে পিছু নেয় কিলাররা। হাজামপাড়া এলাকায় পৌঁছানোর সাথে সাথে নজরুল ইসলামের মটরসাইকেলে পাশাপাশি যেয়ে খইবার গুলি চালায় নজরুল ইসলামের উপর। গুলি লাগার পর ওই অবস্থায় জীবন বাঁচাতে মটর সাইকেল নিয়ে কিছু দূর যায়। এরপর মটর সাইকেল থেকে নজরুল ইসলাম পড়ে গেলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মহিদুল ইসলাম জানান, নজরুল ইসলাম হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মুকুল, রিয়াদ ও খইবারের স্ত্রী ছাবিনা খাতুনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তারা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিসেট্রট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে গ্রেফতারকৃত তিনজন আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যার সাথে জড়িতদের নাম ও ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনাও দিয়েছে।
সাতক্ষীরায় আ’লীগ নেতা নজরুল হত্যা মামলার ক্লু উদ্ধার


পূর্ববর্তী পোস্ট