নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা বিদুৎ সরবরাহের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মার্কেট মালিকের সঙ্গে তিনজন ব্যবসায়ীর বচসা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, শহরে প্রাণকেন্দ্র নিউ মার্কেট এর উত্তর পার্শ্বে পাঁচশতক জমিতে অবস্থিত মার্কেট কোবলা মূলে ক্রয় করেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু। দীর্ঘ দিন ওই মার্কেটের ভাড়াটিয়া ইকো ইলেকট্রিকের আনিছ, সুন্দরবন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টের নুর ইসলাম এবং মেসার্স পপুলার কর্নারের হুদা মার্কেট মালিকের সঙ্গে দ্বন্দে জড়ায়। এতে করে মার্কেট মালিক সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর বর্ণিত তিনজনের নামে নেয়া অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করার জন্য আবেদন করেন। আবেদন যাচাই-বাছাই করে নূর ইসলাম, আনিছ এবং হুদার নামে থাকা অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কর্তৃপক্ষ তা মার্কেট মালিককে পত্রের মাধ্যমে জানিয়েও দেন।
এদিকে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর নূরুল ইসলাম, আনিছ ও হুদা প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ পন্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার পায়তারা শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে তারা একজন সংসদ সদস্যের সুপারিশ নিয়ে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মো: আসাদুজ্জামান ওজোপাডিকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসকসহ পাঁচজনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি দাবী করেছেন বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হলে আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে মার্কেট মালিক নাছিম ফারুক খান মিঠু বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজীব চন্দ্র রায় শুক্রবার দুপুর বারটার সময় অবৈধভাবে মার্কেটে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে যান। এ সময় সেখানে নূর ইসলাম, হুদা ও আনিছসহ তাদের লোকজন উপস্থিত ছিল। এ সময় নূরুল ইসলাম ও তার পুত্র জহিরুল আমার ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অপরদিকে নূরুল ইসলাম সাতনদীকে জানান, মার্কেট মালিক নাছিম ফারুক খান মিঠুর সঙ্গে আমার বিরোধ মিমাংসা হয়েছে প্রায়। আজকের ঘটনাটি খুবই দুঃকজনক।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজিব চন্দ্র রায় সাতনদীকে জানান, দু’পক্ষের মধ্যে মামলা আছে। ইতোপূর্বে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। কর্তৃপক্ষ দু’পক্ষের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের শর্তে নতুন করে সংযোগ দেয়ার জন্য বলেছেন।