নিজস্ব প্রতিবেদক: জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কোন আইন-ই মানে না আশাশুনির মেহেদী, সাব্বির, মোসলেমা খাতুন ও সেলিম রেজা। তারা উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা এলাকার এবং আলিপুর দিঘির পাড় এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বিগত ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর বেউলা গ্রামের মৃত সফিকুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হোসেন ও সাব্বির হোসেন এবং একই এলাকার রেজাদুল ইসলামের স্ত্রী মোসলেমা খাতুনকে বিবাদী করে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক বরাবর প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বেউলা গ্রামের মৃত ইমান আলী সরদারের মেয়ে মেহেরুন্নেছা গং।
অভিযোগে প্রকাশ বিবাদীগন বেউলা মৌজার ডিপি ৫১৭ খতিয়ানের, ৩৩৯৫ দাগের ৩৮ শতক জমি আশাশুনি সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে ৪৮০৬/৯৩ এবং ১৬৭/৯৫ নং কোবলা দলিল মূলে ক্রয় করে ভোগ দখলী থাকেন। এদিকে বাদী মেহেরুন্নেছা অসহায় নারী, ও নিরীহ প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় বিবাদীগন বাদীগনের উক্ত মৌজার ৮৬৯ ডিপি খতিয়ানের ৩৩৯৪ দাগের ১একর ১৩ শতকের মধ্যে ৪৮ শতক জমি কোন প্রকার হারি না দিয়ে জোর পূর্বক ভোগ দখল করছে। অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক এ ঘটনার তদন্ত পূর্বক বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ ও কার্যালয়কে অবহিত করতে ২৭ সেপ্টেম্বর-২০ সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনিকে নির্দেশনা প্রদান করেন। যাহা পর্যায়ক্রমে বুধহাটা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম সরেজমিনে তদন্ত করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে আবেদনকারীর দাবী যুক্তিযুক্ত ও উক্ত সম্পত্তির হকদার এবং বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরী বলে ১১ফ্রেব্রুয়ারী-২১ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ভূমি কর্মকর্তা। অন্যদিকে বাদীপক্ষ (ফরিদা ও খায়রুন্নেছা) স্থানীয় বাবুল আক্তারের নিকট তাদের ৮৬৯ নং আর এস খতিয়ানের ৩৬ শতক সম্পত্তি বর্গাভাগ বা হারি দিলে বেউলা গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে বর্তমান আলিপুর দিঘির পাড় এলাকার মোঃ সেলিম রেজা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে বাবুল আক্তারকে জমি থেকে তাড়িয়ে দেয়। উপায় না পেয়ে বাবুল আক্তার ২২ ডিসেম্বর-২০ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, দেবহাটা সার্কেল বরাবর সেলিম রেজাকে বিবাদী করে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। তদন্তকালে নালিশী সম্পত্তির প্রকৃত মালিককে সনাক্ত করতে সরকারী জিপি এডভোকেট শুম্ভনাথ সিং আইনি মতামত প্রদান করেন। আইনগত মতামতে প্রকাশ করা হয় যে, সেলিম রেজা অরফে রেজাউল ইসলামের নামে নালিশী সম্পত্তির কোন দলিল বা রেকর্ড নেই। সে কারণে নালিশী দাবীকৃত ভূমি বাদী পক্ষের হকদার। এসকল দপ্তরের অভিযোগের তদন্তে উক্ত সম্পত্তি খায়রুন্নছা ও ফরিদা পারভীনদের নামে আছে প্রমাণিত হয়। ফলে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বাবুল আক্তারকে তার ২বছর মেয়াদী লীজ এগ্রিমেন্ট করা সম্পত্তি তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ভূমি লোভী সেলিম রেজা, মেহেদী, সাব্বির ও মোসলেমা খাতুন এবং তাদের সাথে তাল মিলিয়ে একই এলাকার আজগর আলী আইন কানুনকে তোয়াক্কা না করে, আইন মানিনা এমনই আওয়াজ হাঁকিয়ে নালিশী সম্পত্তি আবারও জবর দখল করে নেটপাটা, বাঁশ খুটি রাতের অধারে উপড়ে ফেলে দেয় তারা। এমনি জমির উপর গেলে লাশ বানিয়ে ফেরত দিবে বলে আস্ফালন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এমতাবস্থায় নিরীহ ও অসহায় নারী মেহেরুন্নেছা, ফরিদা ও খায়রুন্নেছা আইনে ন্যায় বিচার পেতে ও আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।