আশাশুনি প্রতিবেদক: আশাশুনি উপজেলায় চলতি বোরো ২০২০-২১ মৌসুমে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্দ্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে।
উপজেলার ১১ ইউনিয়নে মৎস্য চাষের পাশাপাশি ধান, গম, ভুট্টা, সরিষাসহ বিভিন্ন সবজী চাষ হয়ে থাকে। এবছর সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে উপজেলার ২টি ইউনিয়ন প্রতাপনগর ও শ্রীউলা সম্পূর্ণ ভাবে প্লাবিত হয়। এবং আশাশুনি সদর ইউনিয়নের আংশিক প্লাবিত হয়। ফলে এসব এলাকায় ধান চাষ অনেক কম হচ্ছে। সবদিক বিবেচনায় রেখে কৃষি বিভাগ এবছর ৩ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে উফশী ( উচ্চ ফলন শীল) জাতের ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্দ্ধারণ করেছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দসহ কৃষি বিভাগের সকল কর্মকর্তা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে শুরুতে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। প্রনোদনা প্রদর্শণী ক্ষেতসহ সকল এলাকায় চাষীদের সাথে সম্পর্ক রাখা, প্রয়োজনীয় উপদেশ প্রদান, সরেজমিন সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তারা। ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের সম্ভাবনা বিরাজ করছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুল হাসান বলেন, ইতিমধ্যে হাইব্রিড ৩১৫০ হেক্টর অর্থাৎ ৯০% ও উপশী ৩৯৫০৯ হক্টের অর্থাৎ ৮৮% জমিতে রোপণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষকদেরকে লাভবান করার পাশাপাশি চাষাবাদে আগ্রহী করতে হাইব্রিড এসএল বি এইচ, তেজ গোল্ড, শক্তি-২, এসিআই, সিনজেন্টা এবং উপশী ব্রি- ২৮, ৬৭, ৮১, ৮৬, ৮৮ ও ৮৪ জাতের, বিনা- ১০, আইটি ও জামাই বাবু ধান বীজ ব্যবহার করান হয়েছে। ফসল উৎপাদন আশানুরূপ হলে, চলতি মৌসুমে হাইব্রিড ১৯ হাজার ২৫০ মেঃটন ও উপশী ২৪ হাজার ৭৫০ মেঃ টন ধান উৎপাদিত হবে ইনশাল্লাহ। তিনি বলেন, এছাড়া উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৬৩০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে, যার মধ্যে ৬১০ হেক্টরে চাষ সম্পন্ন হয়েছে। এবং গম চাষে ২৫ হেক্টর, সরিষা ১৯০ হেক্টর ও ভুট্টা ১৬ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হবে। আবহাওয়া ভাল থাকলে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি অধিক ফসল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।