সচ্চিদানন্দদেসদয়: আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের ৩২ নং আগরদাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে তদন্ত কমিটি স্কুলে উপস্থিত হয়ে তদন্ত পরিচালনা করেন।
আঃ সালাম নামে জনৈক ব্যক্তি ঠিকানাবিহীন একটি অভিযোগ পত্র উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর দাখিল করেন। অভিযোগে বলা হয়, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিলম্বে স্কুলে গমন করেন, অভিভাবকদের সাথে খারাপ আচরণ করেন, সভাপতিকে ভুল বুঝিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন ইত্যাদি। অভিযোগের তদন্তের জন্য তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রবিউল ইসলাম সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাবৃন্দকে নিয়ে স্কুলে গমন করেন। তিনি স্কুলের বর্তমান সভাপতি অহেদ আলি সরদার, সাবেক সভাপতি বর্তমান সহ-সভাপতি ইয়াহিয়া মোল্যা, প্রধান শিক্ষক এস এম আলাউদ্দিন, ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন আঙ্গুরের লিখিত জবানবন্ধি গ্রহন করেন এবং এসএমসি সদস্য ও আগত অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন। জবানবন্ধিতে ও উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ জানান, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত ও সময়মত স্কুলে আগমন-প্রস্থান ও সুষ্ঠু ভাবে ক্লাস পরিচালনা করে আসছেন। অভিভাবকদের সাথে তিনি কোন রকম খারাপ আচরণ করেন না বরং নিজেই অভিভাবকদের আহবান জানিয়ে শিক্ষার পরিবেশ অনুকূলে রাখতে প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকেন ও সকলের সাথে সুসম্পর্ক স্থাপন করে এসেছেন। আরও জানাযায়, সভাপতি অহেদ আলি সরদার নির্বাচিত হওয়ার পর কমিটি অনুমোদনে বিলম্বিত হয় এবং এক বছর পর কমিটি অনুমোদিত হয়। কমিটি অনুমোদনের পর ঈদের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পূর্বেই টাকা উঠানোর নিমিত্বে নতুন সভাপতিসহ কমিটির সকল সদস্যের সম্মতিতে রেজুলেশনের মাধ্যমে পুরনো সভাপতির স্বাক্ষরিত চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা উঠানো হয়। এবং পুরো টাকা নতুন সভাপতির হাত দিয়ে যথাযথ ভাবে ব্যয় করে কাজ সম্পন্ন করা হয়। এছাড়া ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা বর্তমান সভাপতির মাধ্যমে উত্তোলন পূর্বক তার মাধ্যমে কাজ সম্পাদন ও ব্যয় করা হয়েছে। উদ্বুত্ত টাকা দিয়ে একটি শ্রেণি কক্ষ নির্মান এবং বিল্ডিং এর বাইরে চিত্রাঙ্কন করে সুসজ্জিত করা হয়েছে। কোন অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি। এসময় অভিযোগকারীকে পাওয়া যায়নি এবং লিখিত ভাবে আনীত অভিযোগের পক্ষে কোন বক্তব্যও পাওয়া যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রবিউল ইসলাম জানান, অভিযোগের তদন্তসহ স্কুলের কার্যক্রম ও বাস্তবায়িত প্রকল্পের কাজ সম্পর্কে খোজখবর, কাগজপত্র দেখা ও ফটোকপি সংগ্রহ, লিখিত জবানবন্ধি নেওয়া হয়েছে। পর্যালোচনান্তে বিস্তারিত বলা যাবে।
আশাশুনির আগরদাড়ি প্রাইমারী স্কুলে তদন্ত অনুষ্ঠিত
পূর্ববর্তী পোস্ট