সচ্চিদানন্দদেসদয়
আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কের পাশে বসবাস করা প্রায় শতাধিক ঋষি সম্প্রদায়ের পরিবার। করোনা ভাইরাসের কারনে অর্ধাহারে–অনাহারে মানবেতর জীবনযাপন করছে ঋষি সম্প্রদায়ের এ শতাধিক পরিবার।
সব সময়ের নাগরিকক সুবিধা বঞ্চিত এই সম্প্রদায়ের পরিবারের খোঁজ সদস্যরা অতীতের মতো দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ মূহুর্তের সময়েও নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ পরিবারগুলোর। জানা যায়, আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের শতাধিক ঋষি সম্প্রদায়ের পরিবারের বসবাস। যা সকলের নিকট ঋষিপাড়া বলে পরিচিত। ঋষিপাড়ায় বসবাসকারী বাসীন্দাদের অধিকাংশরাই খেটে খাওয়া নিন্ম আায়ের মানুষ। বিভিন্ন সমিল, রাইচ মিল, ভ্যান চালক, ঝাড়–দার, জুতাপালিশ, মুটের কাজ করে কোনো মতে দিনযাপন করে আসছিলো তারা। করোনা ভাইরাসের কারনে এ সকল খেটে খাওয়া মানুষের জীবনে নেমে এসেছে চরম বিপর্যয়। তাদের অনেকের ঘরেই নেই খাবার। এ দুর্দিনে তাদের খোজঁ-খবর নিতে আসেনি নেতা কিংবা কোনো জনপ্রতিনিধি। পায়নি তারা কোনো সরকারী অনুদান বা সরকারের তরফ থেকে কোনো প্রকার ত্রান। মন্টুদাস, পলাশদাশ দাস, নন্দ দাস সহ বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা অভিযোগের সুরে বলেন, আমরা বাংলাদেশের নাগরিক এবং স্থায়ী বাসীন্দা হবার পরে ও কেনো আমরা শুধু মাত্র ভোট প্রদান ছাড়া প্রায় সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। করোনা ভাইরাসের প্রার্দূভ এর পর থেকে আমারা খেয়ে না খেয়ে অনেক কষ্টের মাঝে বেচেঁ আছি তারা খোঁজ নিতে আসেনি কোনো নেতা বা জনপ্রতিনিধি । ঋষিপাড়ার প্রধান রঞ্জন দাস ও সুনিলদাস বলেন, এখানে বসবাস কারী সংখ্যালঘু পরিবারের অধিকাংশরাই নিন্ম আয়ের সাধারন শ্রমিক। করোনা ভাইরাসের কারনে এ সকল নিন্ম আয়ের পরিবারগুলোর মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্যের চরম সংকট। অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে তাদের অনেককেই। তাদের কে সহযোগিতা করার জন্য এখনও পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কেউ এগিয়ে আসেন নি।কয়েকদিন পূর্বে তাদের অনেকেই ত্রান বা খাদ্য পাবার আশায় গিয়েছিলো স্থানীয় ইউ,পি সদস্য এর বাসায়। তিনি আমাদের আইডি কার্ড এর ফটো কপি ও মোবাইল নম্বর নিয়েছেন আর বলেছেন যে, সরকারী তরফ থেকে ত্রান আসলে তিনি তা পৌছে দিবেন।তিনি আরো বলেন, শুধু মাত্র ভোট প্রদান করা ছাড়া প্রায় সকল প্রকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত আমাদের ঋষিবাড়ীর বাসিন্দারা। অতিতের মতো বর্তমানে ও তাদের সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রতি নজর নেই নেতা কিংবা কোনো জনপ্রতিনিধির। বরাবরের মতো আজো তারা অবহেলিত। তিনি সমাজের বিত্তবান, রাজনৈতিক দলীয় নেতা, জনপ্রতিনিধি এবং সরকারী কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, অনাহারে-অর্ধাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করা মানুষের সাহযার্থে এগিয়ে আসার জন্য।