= ইউনিয়নবাসীর মাঝে কৌতুহল।
= শুনানী সম্পন্ন, লিখিত জবাব দেয়ার নির্দেশনা।
= মাথা না নোয়ানোর প্রত্যয় চেয়ারম্যানের।
= মেম্বরদের মানববন্ধন।
= আদালতেও যেতে পারে বিষয়টি
= আইনানুযায়ী ব্যবস্থা
নিজস্ব প্রতিবেদক: (পূর্ব প্রকাশিতের পর) সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ৩নং কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনীত অনাস্থা প্রস্তাবের উপর শুনাণী উপলক্ষে স্থানীয় জনসাথারনের মাঝে ছিল কৌতুহল। পূর্ব নির্ধারিত দিনে বৃহস্পতিবার এ শুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুনানী শেষে বিবাদী লিখিত জবাব জমা দিলেও জমা দেয়নি বাদী পক্ষ। অন্যায়ের কাছে মথা নত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন চেয়ারম্যান আর শুনাণী শেষে প্রতীকি মানববন্ধন করেছেন মেম্বরগণ। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করার ফাঁকা আওয়াজ দিয়েছে বাদীপক্ষ। আর আইনানুযায়ীই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ৪ জুন ২০২০ তারিখে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার নিকট অনাস্থা জ্ঞাপন করায় গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ের শুনানীর দিন ধার্য ছিল। এ বিষয়ের দায়িত্বপ্রপ্তি কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা’র নিজস্ব কার্যালয়ে নির্ধারিত সময় সকাল ১১টায় শুনানী অনুষ্ঠিত হয়। বাদীপক্ষ ও বিবাদী পক্ষের কাছে তাদের বক্তব্য শোনেন তিনি। পরে তিনি উভয় পক্ষকে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সহ লিখিত আকারে তাদের স্বপক্ষের বক্তব্য/ জবাব জমা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। নির্দেশনার আলোকে বিবাদী ইউপি চেয়ারম্যান তার লিখিত জবাব জমা দিলেও এদিন লিখিত বক্তব্য বা জবাব জমা দেননি বাদীপক্ষ তথা মেম্বরগণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুনানী বিষয়ে ঐ ইউনিয়নবাসীর মাঝে ছিল অনেক কৌতুহল। কারো কারো মনোস্তাত্ত্বিক সমর্থন ছিল চেয়ারম্যানের পক্ষে আর কারো কারো মনোস্তাত্ত্বিক সমর্থন ছিল মেম্বরগণের পক্ষে। কৌতুহল হেতু সকাল থেকে উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হতে থাকে তাদের স্ব স্ব পক্ষের কর্ণধরদের কাছাকাছি। পরে তারা বিভিন্নভাবে পৌছান শুনানী স্থলে।
সেখানে উভয়পক্ষের লোকজনের সমাগম ঘটে। শুনানীতে কি হলো আর ফলাফল কি হতে পারে শুনানী শেে ষ তা নিয়েওউভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে প্রকট কৌতুহল লক্ষ্য করা গেছে।
তদন্ত শেষে অভিযোগকারী মেম্বরগণ আশাশুনি প্রেসক্লাবে গিয়ে জানান, তাদের আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ সত্য, সকল প্রমান তাদের কাছে আছে, তদন্তকালে তা জানানো হয়েছে এবং লিখিত বক্তব্য জমার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রমানাদি জমা দেয়া হবে। এ সময় তারা প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত মানববন্ধন করেন।
এদিকে বিশ^স্ত্র একটি সূত্র জানিয়েছে যে, বিষয়টি প্রয়োজনে আদালতের দোরগোড়া পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন দায়িত্বশীল একজন।
এ বিষয়ে বাদী পক্ষের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম পান্নার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আজ শুনানী হয়েছে, আগামী সপ্তাহে লিখিতভাবে বক্তব্য/জবাব দেয়ার জন্য নির্ধেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা আগামী সপ্তাহে আমাদের দাবীর স্বপক্ষে প্রমানসহ লিখিত বক্তব্য জমা দেব। আর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি আসলে মানববন্ধন না। এ বিষয়ে পত্র পত্রিকায় নিউজ করার জন্য সারিবদ্ধভাবে ছবি তোলা হয়।
আর বিবাদী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের একটিও সঠিক নয়। আমি সরকারি নীতি অনুযায়ী সকল কাজ সম্পন্ন করেছি। তদন্তকারী কর্মকর্তার নির্দেশনার আলোকে আমি আমার স্বপক্ষের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ লিখিত জবাব জমা দিয়েছি।
তিনি আর বলেন, আমি কোনরুপ অনিয়ম দূর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেয়ায় মেম্বররা তাদের অবৈধ সুযোগ সুবিধা আদায় করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে অসত্য, ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করেছেন। আমি কোন অন্যাই করিনি। তারা আমাকে বিভিন্ন বিষয়ে ভাতা বানিজ্যের প্রস্থাব দিয়েছিলেন কিন্ত আমি অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি আগামীতেও করব না।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন সুলতানা জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুনানী হয়েছে। উভয় পক্ষকে তাদের লিখিত বক্তব্য ও ডকুমেন্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে স্পটে যাওয়া হবে। পর্যালোচনা শেষে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
তাই অভিযোগের শুনানীর ফলাফল আর কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদের অজানা আরও তথ্য জানতে আগামী ৬ষ্ঠ পর্বে আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন আর চোখ রাখুন দৈনিক সাতনদী পত্রিকার পাতায় ও অনলাইন মিডিয়ায়।