সচ্চিদানন্দদেসদয়: করোনা ভাইরাসের ২য় ঢেউয়ে এ পর্যন্ত ১০৬ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। ১৫ জুন নতুন করে আরও ৪ জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। দুর্ভাগ্য জনক হলেও সত্য একদিন পার হয়ে গেলেও রোগিরা জানেনা তাদের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। একই ভাবে অধিকাংশ রোগির বাড়ি লকডাউন ঘোষণা, সরকারি বিধিনিষেধ ও মনিটরিং করার খুবই জরুরী পদক্ষেপও গ্রহণ করা হচ্ছেনা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৫ জুন) উপজেলার ৪ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তারা হলেন, শোভনালী ইউনিয়নের বৈকরঝুটি গ্রামের রোজিনা, একই গ্রামের সালাহ উদ্দিন ও শোভনালী গ্রামের জ্যোতি এবং বুধহাটা ইউনিয়নের কুঁন্দুড়িয়া গ্রামের ফুলখলি সরকার। এনিয়ে আশাশুনি উপজেলায় ১৪৬ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে ৪১ জন গত বছরের এবং ১০৫ জন চলতি ২য় ঢেউয়ে সংক্রমিত হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুদেষ্ণা সরকার জানান, পরেজিভ রিপোর্ট পাওয়ার সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে অভহিত করা হয়ে থাকে। লকডাউন করার দায়িত্ব প্রশাসনের, আমাদের দায়িত্ব স্বাস্থ্য সেবা প্রদান। আমি ইউএনও স্যারের সাথে এনিয়ে কথা বলেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, লকডাউনসহ রোগিদের সার্বিক দিক মনিটরিং করা খুবই প্রয়োজন। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কার্যক্রম নিতে বলে এসেছি। অনেক স্থানে সে দায়িত্ব যথাযথ পালিত হচ্ছেনা আমরা খবর পাচ্ছি। সাংবাদিকদের থেকে তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমি এসি (ল্যান্ড) কে পাঠিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছি। অনেক রোগির অনীহা ও গাফিলতি হতাশা জনক। এব্যাপারে আমি ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারগণকে চিঠি ও ফোনে কথা বলেছি। সহকারী কমিশনার (ভূমি)কে মনিটরিং করার দায়িত্ব দিয়েছি। আমিও তদারকি করবো। পুলিশকেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে কথা বলবো। আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আইন কারো জন্য ভিন্ন হবেনা।