নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দিগাং গ্রামে অবৈধ মেশিনে তোলা হচ্ছে বালু। দিগাং গ্রামের ভূমিদস্যু শাহিন প্রতিনিয়ত এই অবৈধ মেশিন দিয়ে উত্তোলন করে যাচ্ছে বালু। এতে করে ক্ষতি হচ্ছে পার্শ্ববর্তী জমি এবং ভূখণ্ড। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বার বার এই ভূমিদস্যু শাহীন নিজের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আকবর, মাজেদ ,খালেক শরিকের একটি পুকুর লিজ দিয়েছেন জহিরুল ইসলামকে। জহিরুল ইসলাম পুকুরে মাছ চাষের গভীরতা কম এমন অজুহাত দেখিয়ে পুকুর কাটার জন্য অনুরোধ করেন মালিকদের। কিন্তু মালিকরা কেটে দেয়ার আগ্রহ না দেখালে শাহীন ও তার ভূমিদস্যু চক্রের সাথে মিশে বালু উত্তোলন করতে থাকেন এই চক্রটি। প্রায় ৩০ ফুট গভীর করে পুকুর থেকে বালি তোলা হচ্ছে অবৈধ মেশিন দিয়ে। এই বিষয়ে জরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, শাহীন আমার পুকুর গভীর করে দেবেন বলে নিয়েছেন। প্রসাশনের অনুমতি নিয়েছেন কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে শাহিন ভালো বলতে পারবে। এবং শাহিন আমাকে বলেছে এ বিষয়ে কারো অনুমতি নেয়া লাগবেনা তাও যদি লাগে তাহলে সেটা শাহিন ভালো বুঝবে। এ বিষয়ে শাহিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে শাহীন সাংবাদিকদেরকে জানান আমি শুধুমাত্র পুকুরের বোধ উত্তোলনের জন্য নিয়েছি তবে আপনারা বলছেন যখন আমি কাজ করবো না।
তবে এই শাহীন ভূমিদস্যু হিসেবে এলাকায় যেমন রয়েছে তার আধিপত্য সে রকম রয়েছে দাপট। তিনি এলাকার সকল স্থানেই অবৈধ মেশিন দিয়ে বালু তোলার কাজটি করে আসছেন প্রশাসনের সামনে থেকেই। প্রশাসনকে যেন তোয়াক্কা করছেন না এই ভূমিদস্যু শাহীন। এর আগেও বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় অনলাইনে নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশ হলেও এই ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে কিন্তু প্রশাসন যেন এক প্রকার নিরব ভূমিকা পালন করছে ।
এলাকাবাসী খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমরা প্রতিবার এই ভূমিদস্যু কে আটকানোর চেষ্টা করলেও তাকে আটকানো যাচ্ছে না সে বারবার তার বালু উত্তোলনের কাজ করেই যাচ্ছে সে প্রশাসনের কোনো কথাই মানতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুকুর মালিকেরই একজন বলেছেন আমরা বিপদে রয়েছে এই ভূমিদস্যুদের থেকে বারবার মানা করা সত্ত্বেও তারা বালু উত্তোলন করছে আমরা প্রশাসনের কাছে সুদৃষ্টি কামনা করছি।
কলারোয়ার হেলাতলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন
পূর্ববর্তী পোস্ট