নিজস্ব প্রতিবেদক: কলারোয়ায় উপজেলায় হেলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাটার সময়ে গড়ে উঠেছে অবৈধ কয়লা উৎপাদন কারখান । বহুবার বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে নিউজ হলেও কলারোয়া প্রশাসন নিরব ভুমিকায়। পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এসকল ভাটা কলারোয়া উপজেলায় এই প্রথম গড়ে তুলেছেন বাশার নামে একজন কলেজ শিক্ষক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষিজমি বিলীন করে সেখানে গড়ে উঠেছে ৮ থেকে ১০টি বিশাল আকারের চুলা যা সবগুলোতেই প্রচুর পরিমাণে আস্ত গাছের গুড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে তৈরি করা হচ্ছে কয়লা।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক সাংবাদিকদের জানান, আমার জমির গাছের ক্ষতি হচ্ছে,গাছের পাতা পেকে যাচ্ছে ফল ঝরে যাচ্ছে। এলাকার একজন সচেতন নাগরিক বলেন, গাছ নিধনের বড় ভূমিকা পালন করছে বর্তমানে কলারোয়ার এই কারখানাটি। এখানে এখন প্রচুর পরিমাণ কাঠ পোড়ানো হচ্ছে যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে চারিপাশে বরই (কুল) গাছের চাষ হয়েছে পটল আম স্বরবৃত্ত ফসলের চাষ তার মাঝেই গড়ে উঠেছে এই অবৈধ স্থাপনা।
প্রশাসন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই বাশার নিজের ক্ষমতা বলেই গড়ে তুলেছেন এই ব্যবসা। এ ছাড়াও বাশার নিজে এলাকায় গড়ে তুলেছেন ক্যাডার বাহিনী। স্থায়ী একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, তিনি সবাইকে বলে বেড়াচ্ছেন তিনি প্রশাসনের সকল অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় শাখায় যোগাযোগ করলে তারা জানিয়েছেন, এ সকল প্রতিষ্ঠানের কোনো বৈধতা নেই এবং এধরনের প্রতিষ্ঠান কোথাও গড়ে উঠলে তা আমরা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে জেল এবং জরিমানার আওতায় নিয়ে আসছি।
এইসব বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিক বাশার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা এখন কাজ করছি এতে করে আনেক মানুষের এখানে কাজ করতে পারে। তাদের জীবিকার নীর্বাহ হয় এখান থেকেই।