আক্তারুজ্জামান: কলারোয়ার উপজেলার সীমান্তবর্তী সোনাই নদীর ওপাশে ভারত, এ পাশে নদী থেকে মাত্র পঞ্চাশ গজ দূরে কেঁড়াগাছি ঘোষপাড়ার দুইশ’ বছরের নিম গাছটি কালের স্বাক্ষী হয়ে আছে। কেঁড়াগাছি অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ শিক্ষক গোবিন্দ লাল মিত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন গাজী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুনছুর আলী বিশ্বাস, প্রবীণ ব্যক্তি জনাব আলী বিশ্বাস সহ স্হানীয় অনেকেই গাছ সম্পর্কে জানান যে, অনেক পুরনো এই গাছটি আমাদের বাপ দাদার মুখেও এই গাছের গল্প শুনেছি। এক সময় এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বসাবস ছিল। চোখে পড়ার মত এখনও অবশ্য কিছু সংখ্যক সনাতন ধর্মের লোক বসাবাস করছেন। তারা এই গাছের নিচে পূজা অর্চনা করেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান, আমাদের পূর্ব পুরুষের আমল থেকে আমরা এই গাছের নিচে পূজা দিয়ে আসছি। এক সময়ে গাছটির জৌলুস ছিল, কালের বিবর্তনে গাছটির বয়স বেড়ে যাওয়ায় গাছটির অনেক ডালপালা শুকিয়ে আগের সেই জৌলুস হারিয়ে গেছে।
গ্রাম বাসিরা আরও জানান, এক সময় এই গাছের নিচে ধর্মীয় গান, যাত্রাপালা,পালাগানের আসর বসতো। এখনও অনেক দূর থেকে লোকজন আসে এখানে পূজা দিতে। সবদিক মিলিয়ে ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে রয়েছে কেঁড়াগাছির প্রাচীনতম এই নিম গাছটি । গাছটি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করার দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।