জি, এম ,নজরুল ইসলাম (শামনগর) মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ শীতের মৌসুমে অন্যরকম আমেজে দেশের প্রতিটা গ্রাম অঞ্চলের মানুষ বিভিন্ন কর্ম ব্যস্ততার মাঝে সময় পার করেন। তেমনই দৃশ্যপট দেখাগেছে শ্যামনগর মুন্সিগঞ্জ কুলতলি গ্রামের নারীদের মাঝে।
গ্রাম অঞ্চলের নারীদের কাজ বেড়েছে কুমড়া বড়ি দেওয়ার জন্য। ভোর সকালে ঘাসের ডগায়, ধানের শীষে শিশির ভেজা মুক্ত কনা জানায় দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। যদিও এখনো পুরোদমে শীত শুরু হয়নি। তবে শীতের আগমনী বার্তায় শ্যামনগর উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কুমড়া বড়ি তৈরির ধুম পড়েছে। কুমড়ার বড়ি তরকারির একটি মুখরোচক খাদ্য উপাদান। এতে তরকারির স্বাদে যোগ হয় আর এক নতুন মাত্রা। মুন্সীগঞ্জ কুলতলী ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের শত শত নারীরা কুমড়া বড়ি তৈরির কাজে মনোযোগী হয়েছেন। শীত আগমনের সাথে সাথে কুমড়া বড়ি তৈরির ব্যস্ততা বেড়েছে পেরায় প্রতিটি গ্রাম অঞ্চলের নারীদের মাঝে। বর্ষাকাল ব্যতীত বাকি মাসগুলোতে কমবেশি কুমড়া বড়ি তৈরি করে ।অবশ্য শীতকাল এর ভরা মৌসুম। এসময় গ্রারামের প্রতিটা বাড়িতে কমবেশি বড়ি তৈরি করা হয়। অনেকেই পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকিটা বাজারে বিক্রিও করে থাকেন। শীতের সময় কুমড়ো বড়ির চাহিদা থাকে বেশি। সেই সুযোগে গ্রাম অঞ্চলের নির্মোবিত্ত নারীরা আইএর জন্য এটা তৈরি করে বাড়তি উপার্জন করেন। দুটি উপকরণের সংমিশ্রণে তৈরিকৃত কুমড়া বড়ি পাতলা কাপড়ের উপরে সারি সারি বসানোর দৃশ্য দেখতেও দারুন লাগে। ওই কুমড়ার বড়ি কয়েক দিন একটানা রৌদ্রে শুকানো হয়। শুকানো বড়ি কাপড় থেকে উঠিয়ে অন্য পাত্রে সংরক্ষণ করা হয়। কথা হয় ফজলু গাজীর গৃহিণী আছিরন বিবির সাথে। তিনি জানালেন ৪-৫ কেজি কুমড়ার সাথে ২ কেজি মাষকলাই এর মিশ্রনে কুমড়ো বড়ি ভালো তৈরি হয় ।মাষকলাই পানিতে ভিজিয়ে পরিষ্কার করা ,আর ঢেঁকিতে বা পাটায় বেটে বড়ি তৈরি করতে প্রচুর পরিশ্রম হয়, এমন কি অনেক সময় ও লাগে ।তবুও আমাদের এই শীতের সময় বেশ ভালো লাগে এই কাজ করতে। তাছাড়া অনেকেই বাড়তি উপার্জনের আশায় বাজারে বিক্রি করার জন্য মৌসুমের প্রথম থেকেই কুমড়ো বড়ি তৈরি করা শুরু করে দেন ।সাদওমানের দিক থেকে বাজারে বিক্রি হওয়া বড়ির তুলনায় নিজেদের তৈরিকৃত বুড়ি ভালো হয় বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা। পরিবারের চাহিদা মেটাতে কষ্ট হলেও অনেকেই তৈরি করছে। যেটার সুযোগ শহর অঞ্চলের মানুষদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা বলে মনে করেন গ্রাম অঞ্চলের অনেকেই। ১কেজি কুমড়ো বুড়ি তৈরি করতে প্রায় ১১০- ১২০ টাকার মতো খরচ হয়। আর বাজারে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হয় । এতে নিম্নবিত্ত মানুষদের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাড়তি আয় করা সম্ভব হয় বলে জানান শ্যামনগর উপজেলার কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত থাকা একাধিক নারী।
গ্রামাঞ্চলে কুমড়োর বড়ি তৈরির ধুম
পূর্ববর্তী পোস্ট