চট্টগ্রাম অফিস:
চট্টগ্রাম ইপিজেড থানার এসআই রাজিবের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী, মিথ্যা মামলা ও ক্রসফায়ারের হুমকির অভিযোগ এনেছে বোয়ালখালী বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন। আনোয়ার হোসেনকে ইপিজেড থানায় এসআই রাজিব ডেকে নিয়ে হুমকি, ধমকি দিয়ে খালি স্টাম্পে স্বাক্ষরসহ ৫ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করেছে মর্মে জানা যায় এবং এর বিরুদ্ধে তিনি মাননীয় পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে মর্মে জানা যায়। কাতারে থাকা অবস্থায় হারিয়ে যাওয়া টাকাকে কেন্দ্র করে আনোয়ার হোসেনের পরিচিত কাতার প্রবাসী বাপ্পি চৌধুরী এই সড়যন্ত্র মূল হোতা বলে তিনি জানান।
এই বিষয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, বিগত ৩রা ফেব্রুয়ারী তারিখে কাতার হতে বাংলাদেশে চলে আসার পর গত ২২ শে ফেব্রুয়ারী কাতারে আমার পরিচিত বাপ্পি চৌধুরী আনুমানিক দুপুর ১ টার সময় ইপিজেড থানা এলাকার আকমল আলী রোডস্থ একটি খাওয়ার হোটেলে নিয়ে যায়। এমন সময় বাপ্পি চৌধুরীর ভাই শৈবাল চৌধুরী ও পরিচয় অজ্ঞাত আরো তিনজন যুবক উক্ত স্থানে চলে আসে এবং আমাকে ঘিরে ফেলে। প্রথমে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে ও আমার সাথে থাকা নগদে চল্লিশ হাজার টাকা নিয়ে ফেলে পাশাপাশি আমার হাতে থাকা মোবাইলও তাদের আওতায় নিয়ে যায়। এরই মধ্যে সিভিল পোশাকে ইপিজেড থানার এসআই রাজিব এর আকর্ষিক আগমন ঘটে। এসআই রাজিব এসে পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমাকে মারাত্মক ধরনের হুমকি দিতে থাকে একপর্যায়ে জোর করে আমাকে ইপিজেড থানায় নিয়ে যায়। বাপ্পি এবং শৈবালের মিথ্যা বানানো অহেতুক মৌখিক অভিযোগের অজুহাত দেখিয়ে জামাত বিএনপি’র সংগঠিত ঘটনার মামলা এবং ইয়াবা দিয়ে চালান দেওয়াসহ পরিশেষে এইসব মামলার আসামী বানিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দিতে থাকে এবং নগদে ৫ লক্ষ টাকা থানায় এনে আমার পরিবার যেন জমা দিয়ে যায়। অন্যথায় আমার ভিসা যুক্ত পার্সপোর্ট থানায় জমা দিতে হবে বলে তিনি জানান। ক্রস ফায়ারের হুমকি দিয়ে অলেখিত স্টাম্পে স্বাক্ষর এবং এসআই রাজিব আমার ছবি তুলে নেয়। যদি আমি ৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ না করি তাহলে আমাকে জালজালিয়াতকারী, আদম বেপারী, প্রতারক বানিয়ে পেপার পত্রিকায় নিউজ করার হুমকিও দিতে থাকে।
তিনি আরো জানান, ঘটনার ৪/৫ দিনপর এসআই রাজিব আমাকে ইপিজেড থানায় ডাকায় এবং যাওয়ার পর আমি সংঘঠিত ঘটনার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল হুদাকে অবগত করি। তিনিও নাটকিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেন একপর্যায়ে আমাকে হামলা করার হুমকি ধমকি দিয়ে এসআই রাজিবকে বকাঝকা করে আমার স্বাক্ষরকৃত অলেখিত স্টাম্পটি ওসি নুরুল হুদার হেফাজতে নিয়ে যায়। ওসি নুরুল হুদা মিথ্যা চাঁপ প্রয়োগকৃত স্টাম্পকে বৈধতা করার জন্য আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মারমুখি আচরণ করে। তখনই বুঝতে পারলাম সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সাথে এসআই রাজিব ও ওসি নুরুল হুদা সরাসরি জড়িত রয়েছে। তারা মধ্যস্থতাকারী আরমানের মাধ্যমে আমার কাছ থেকে অবৈধভাবে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ওসিকে পরিশোধের নামে দফায় দফায় ২৫ হাজার টাকা আমার কাছ থেকে গ্রহণ করে আরমান বলে যে, ওসির সাথে আমার কথা চূড়ান্ত হয়েছে। এই ২৫ হাজার টাকা দিলে স্টাম্প ফেরত দিয়ে দিবে। কিন্তু ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার পরও থানা প্রশাসন কৌশলে আমার কাছ হতে অবশিষ্ট ৪ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দাবী করে আসছে।