চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে স্ত্রী ও শ্বাশুরির বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলেছে আরিফুল্লাহ খান নামক এক যুবক। আরিফ চট্টগ্রামের চান্দগাঁওস্থ খেজুরতলা এলাকার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন যাবৎ তার স্ত্রী মেহরুন্নেছা রেখা ও তার শ্বাশুরির জান্নাতুল ফেরদৌস তার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে ১০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে জানা যায়।
এ বিষয়ে আরিফুল্লাহ খান জানান, গত ৪ বছর আগে হাটহাজারীস্থ পূর্ব শিকারপুর গ্রামের মো: সোলাইমানের কন্যা মেহেরুন্নেছা রেখার সাথে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হই। কিন্তু বিয়ে পর থেকে তার পরিবার আমার কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাত টাকা হাতিয়ে নিতে শুরু করে। টাকা না দিলে আমার স্ত্রী আমাকে বিভিন্ন প্রকার মানসিক চাঁপ প্রদান করতো। বিভিন্ন দফায় দফায় আমার কাছ থেকে ব্ল্যাকমেল করে মোট ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমাকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালাত আমার স্ত্রী ও আমার শ্বাশুরী। ঈদ-উল-ফিতরের আগে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে তারা। কিন্তু আমি সে টাকা পরিশোধ না করতে তারা আমাকে মিথ্যা মামলা ও প্রাণ নাশের হুমিকি দিতে থাকে। গত ঈদ-উল-ফিতর এর সময় আমার স্ত্রী আমার শ্বাশুড়ির কথা মোতাবেক আমাকে না জানিয়ে হঠাৎ করে ঘরে থেকে আমার পাসপোর্ট, অলংকার ও আলমারিতে থাকা ১ লক্ষ টাকাসহ আমার সন্তানকে নিয়ে বিনা কারণে বাবার বাড়িতে চলে যায়। আমি এই বিষয় আমার শ্বাশুড়ির কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে নানা রকম কটু কথা শোনা এবং টাকা না দিলে আমার স্ত্রী আমার কাছে ফিরে আসবেনা মর্মে জানিয়ে দেয়।
দাবীকৃত টাকা পরিশোধ না করলে ও পূর্বের প্রদানকৃত টাকার কথা ভুলে না গেলে আরিফকে মিথ্যা মামলা ও তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলে আরিফ জানান। এই সবকিছুর মূল হোতা হিসেবে আরিফ তার শ্বাশুড়ি জান্নাতুল ফেরদৌসকে দায়ী করে এবং তার স্ত্রী, শ্বাশুড়ি ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পূর্বে শালিশ বিচার হলেও এ বিষয়ে কোন প্রকার সুরাহা হয়নি বলে জানান আরিফ।
এই অভিযোগ নিয়ে মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে একাধিকবার বৈঠক হয় বৈঠকে ফাঁড়ি ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জব্বার অভিযোগের সত্যতা তুলে ধরেন এবং বিবাদীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জান্নাতুল ফেরদৌস এর সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।