আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জ্বালানি স্টোরেজ ডিপোতে আগুন লেগে দুই শিশুসহ অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন। আগুনে পুড়ে যাওয়া বাড়ির ধ্বংসাবশেষে এখন নিখোঁজদের খোঁজা হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মারুফ আমিন শনিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনিই হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পেরটামিনার প্লাম্পাং ফুয়েল স্টোরেজ ডিপোর একটি জ্বালানি পাইপ থেকে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে আগুনের সূত্রপাত। দ্রুত আগুন আশপাশের বাড়িগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, আহতদের অনেকে গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। নিরাপত্তা বিবেচনায় ডিপোর কাছাকাছি আবাসিক এলাকার শত শত বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর তিনজন নিখোঁজ আছেন।
উত্তর জাকার্তা রেড ক্রস বলছে, ৩৪২ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য চারটি তাঁবু স্থাপন করা হয়েছে।
পরে সাংবাদিকদের মারুফ আমিন বলেন, ‘আবাসিক এলাকা থেকে ডিপোটি দূরে সরানো উচিত। এই এলাকাটিকে পুনর্বিন্যাস করা হবে। এতে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা অনেকটাই নিশ্চিত হবে।’
শুক্রবার রাতে সম্প্রচারিত ফুটেজে যায়, লোকজন চিৎকার করছে। সরু রাস্তা দিয়ে অনেক মানুষ একসঙ্গে পালানোর চেষ্টা করছে। এ সময় সাইরেন বাজাতে শোনা যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল সিউকুর বলেন, ‘আগুন লাগার প্রায় ৩০ মিনিট আগে আমরা জ্বালানির গন্ধ পাই। গন্ধ এত তীব্র ছিল যে সেখানে লোকজন শ্বাস নিতে পারছিল না। কেউ কেউ প্রায় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল।’
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী স্বস্তোনো আজি বলেন, ‘আমরা এই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছিলাম। তখন হঠাৎ একটি খুব জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই।’
আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। যদিও জ্বালানি সংস্থাটি বলছে, আগুনের আগে একটি পাইপে লিকেজ শনাক্ত হয়েছিল। সূত্র: আল জাজিরা