নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি: সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কর্তৃক আশাশুনির মনোয়ারা বেগমের আবেদনে লিখে দেওয়া “জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিন ও অবহিত করুন” এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেননি উপজেলা প্রশাসন। ২০১৯ সালের জানুয়ারী মাসে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গনশুনানিতে নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের শেখ পাড়ার স্বামী পরিত্যক্ত মনোয়ারা বেগম। এক প্রতিবন্ধী মেয়ে ও এক নাতি ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন তিনি। পরিবারে কোন আয়ের উৎস না থাকায় দু’বেলা দুই মুঠো ভাতের জন্য প্রতিবন্ধী মেয়েকে গ্রামে গ্রামে ঘুরতে হয় মানুষের দুয়ারে। অনুদান ও সাহায্যে চলে তাদের সংসার। এর মধ্যে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে তাদের এক মাত্র মাথা গোজার ঠাই। বাঁশ দিয়ে দেওয়ালে সাপট দেওয়া এখনও মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে কুড়ে ঘরটি। তবে ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা দমকায় যে কোন মুহুর্তে মুখ থুবড়ে পড়তে তাদের এক মাত্র আশ্রয়স্থল। ঘূর্ণিঝড় যশকে কেন্দ্র করে তিনি আতঙ্কিত অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাদের একমাত্র এ আশ্রয় স্থলটি ঝড়ে কবলে মাটিতে বিলিন হলে প্রতিবন্ধী মেয়ে ও নাতি ছেলেকে নিয়ে জীবনের এ পড়ন্ত বেলায় তারা কোথায় নিবে ঠাই। এসব কথা বলতে বলতে গলা ছেড়ে হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠেন অসহায় মনোয়ারা বেগম। বর্তমানে জরাজীর্ণ কুড়ে ঘরে শুয়ে থাকলে দিনে রৌদ্র ও রাতে আকাশ দেখা যায় বলে সাংবাদিককে দেখান মনোয়ারা বেগম।
আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে মনোয়ারা বেগম বলেন, আমি নিজে সেই সময় ইউএনও স্যারের অফিসে গিয়ে জমা দিয়েছি। পরে অনেকবার খোঁজ খবর নিতেও গিয়েছি। তারা বলেন বাড়ীতে যান সময় হলে অফিস থেকে আপনার বাড়িতে তদন্তে যাবে। দুই বছর পার হয়ে তিন বছরে পড়লো কিন্তু কেউ আসলো না। এমতাবস্থায় অসহায় মনোয়ারা বেগম জেলা প্রশাসকের দেওয়া ঘরটি পেতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।