ইয়ারব হোসেন:
সাতক্ষীরা সদরের ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ড দেওয়া ও চাল বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। টাকা দিলেই মিলছে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ড। ট্রাক মালিক, গোডাউন মালিক, কোটিপতি সহ অনেকেই পেয়েছেন এমন কার্ড। অভিযোগ আছে দু’তিন হাজার টাকা দিলেই মিলছে এমন কার্ড। এছাড়াও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওয়তার সুবিধাভোগীদের কার্ড দীর্ঘদিন আটকে রেখে টিপসই দিয়ে আত্মসাতেরও অভিযোগ উঠেছে।
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রামের রাবেয়া খাতুন কার্ড পায়নি। তিনি জানান, শুধু একবার অন্যজনের কার্ডে আমি চাল পেয়েছি।
মাধবকাটি এলাকার কর্মসূচীর অর্ন্তভুক্ত ফারুক হোসেন বলেন, ২০১৬ সাল থেকে আমি কার্ড দিয়ে এ পর্যন্ত চারবার চাল উঠিয়েছি। তিনি জানান, এ কর্মসূচীর অর্ন্তভুক্ত প্রায় সবাই এক থেকে দুইবার চাল পেয়েছে।
অন্যএক কার্ডধারী রফিক জানান তিনি আগে একবার চাল পেয়েছেন। আর সম্প্রতি একবার। আর চাল পাননি। তবে প্রথমবার চাল দেয়ার পর মেম্বার ও ডিলার কার্ড নিয়ে চলে যায়। তখন বলেছিল অন্যদেরও দিতে হবে। তারপর আর কোন খবর পাইনি। সম্প্রতি আবার কার্ড দিয়েছে।
এমন অনেক অভিযোগ ছাড়াও আছে ডিলার নিজ আত্মীয় স্বজন সহ টাকা নিয়ে অনেককেই এই খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর কার্ড পাইয়ে দিয়েছে।
এমনই একজন আরিফুল ইসলাম। তার আছে দ্বিতল বাড়ি সহ ছয়টি দোকান ঘর। সবগুলোই ভাড়া দেন। তিনিও পেয়েছেন খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর কার্ড। এ বিষয়ে আরিফুল ইসলাম বলেন, আমার নামে কার্ড হয়েছে। কিন্তু এখনও হাতে পাইনি।
ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সুমন সানা বলেন, আমার বরাদ্দে ১৯৩টি কার্ড ছিল। আমি এখন তুলে দেখি ২৩টি কার্ড উধাও। চালের ডিলার শফিউর রহমান এই ২৩টি কার্ডে কমবেশি ৩৬৮ বস্তা চাল চুরি করে বিক্রি করেছে। ডিলার মশিউর তার গ্রামের শহিনুর, হাফিজুর সহ অনেকের নামে কার্ড করে দিয়েছে। তার আত্মীয় স্বজনের নামেই আছে ৭ থেকে ৮টি কার্ড। বাদ পড়েনি তার স্ত্রীও। কেউ যদি প্রমান করতে পারে আমি এর সাথে জড়িত তাহলে আমি মেম্বারিতে ইস্তফা দিয়ে দেব।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর এসব অনিয়ম নিয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাতে এ বিষয়ে জানালে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরীর সাথে এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।