এস,এম নজরুল ইসলাম, তালা: সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সদর ইউনিয়েনের তালা -মোবারাকপুর নদীর পাড়ের বাসিন্দারা নোভেল করোনা ভাইরাসের কারনে অনাহারে দিনাতিপাত করছে প্রায় ৪৫ টি অসহায় দিনমজুর পরিবার। কোন তার অর্ধবেলা আবার সারাদিন না খেতে পেরে অনেক কষ্টে চলছে তাদের জীবন। করোনা ভাইরাসের কারনে এই অসহায় মানুষ গুলো বাহিরে বের হতে না পাড়ার কারনে তাদের অবস্থা ধীরে ধীরে অবনতির দিকে যাচ্ছে। সরকার বা বে সরকারী ভাবে পাচ্ছে না কোন প্রকারের অনুদান, সাহায্য।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা সদর ইউনিয়নের সদর ওয়ার্ডে বাসিন্দা তালা-মোবারাকপুর নদীর পাড়ের প্রায়৪০-৪৫টি পরবারের বসবাস। তাদের মধ্য অধিকাংশ লোক দিন মজুর, খেত খামার কাজ করে খায়। কিন্তু করেনা ভাইরাসের কারনে তারা বাড়ি হতে বাহির না হবার কারনে সকল পরিবার কোন দিন একবেলা আবার কোন অর্ধ বেলা না খেয়ে দিনযাপন করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসিন্দা বলেন,কি আর বলবো ভাই ভাইরাসের কারনে বাড়ি হতে বাহির হতে পারছি না আাবার বাড়িতে খাবার না থাকায় বাচ্চাদের কান্নাও শুনতে পারছি না। এ-র ভালো হতো উপর ওয়ালা যদি আমাদের তুলে নিত।
কথা হয় আরও এক বাসিন্দার সাথে, ভাই আমি ভ্যান চালিয়ে সংসারটা কোন রকম চালাছিলাম কিন্তু ভাইরাসের কারনে এখন আর ভ্যান চালাতে পারছি না । এদিকে বাড়িতে নেই কোন খাদ্য সামগ্রী। না খেয়ে আমার না হয় থাকতে পারি কিন্তু এই শিশু গুলো তো আর পারে না। রোজ গার করতে পারছি না তাই বাজারও করা বন্ধ, খাওয়া বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। শুনেছি সরকার থেকে অসহায় দুস্থ দের জন্য খ্যাদ সামগ্রী দিচ্ছে কই আমরা তো পেলাম না?
কান্না বিজড়িত কন্ঠে একজন দিনমজুর সাংবাদিক কে দেখে কেঁদে ফেলেন আর বলতে থাকেন আজ ৩-৪দিন হলো শুধু খুদ রান্না করে আধা পেট খেয়ে দিন চালাচ্ছি। এই পর্যন্ত কেউ আমাদের খবর নিতে এলো না।
এদিকে আরেক দিন মজুর তার ঘরে ভিতরে টেনে নিয়ে সাংবাদিককে দেখান ভাই আজ ৪-৫দিন অর্ধ হারে আছি। ভোটের সময় জনপ্রতিনিধিরা এসে ভোট চাই তার পরে আর আামাদের খবর আর কেউ নেই না। অনেক কষ্টে আছি শুনেছি আমাদের ইউএনও স্যার দয়াবান যদি তিনি আমাদের প্রতি একটু সুনজর দিতেন তাহলে হয়ত কোন রকমে খেয়ে বাচতে পারতাম।
এমনি কথা হয় অনেক বাসিন্দাদের সাথে তাদের একটায় আকুতি তারা বাঁচতে চাই। তার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কশন করেছেন তালা-মোবারাকপুরের বাসিন্দারা।