সাতনদীঃ আপনার পিতার নাম কি? তিনি কোন পেষায় নিয়জিত ছিলেন?
আলমগীর নাজমুল হক পল্লবঃ আমার পিতার নাম মোঃ সামছুল হক। তিনি সাতক্ষীরা জেলা আয়কর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এবং একজন প্রবীন আইনজীবী।
সাতনদীঃ আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়?
আলমগীর নাজমুল হক পল্লবঃ আমার গ্রামের বাড়ি আশাশুনি থানার বুধহাটা ইউনিয়নে।
সাতনদীঃ বর্তমানে কোথায় বসবাস করছেন?
আলমগীর নাজমুল হক পল্লবঃ বর্তমানে আমাদের বসবাস জেলা সদরের সুলতানপুরের কাজীপাড়া।
সাতনদীঃ সাতক্ষীরায় শিক্ষা জীবন শুরু করেন কোথায়?
আলমগীর নাজমুল হক পল্লবঃ সাতক্ষীরায় আমি আমার শিক্ষাজীবন শুরু করি পিএন স্কুল থেকে।
সাতনদীঃ কত সালে কোন কলেজ থেকে আপনি ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন?
আলমগীর নাজমুল হক পল্লবঃ ১৯৯৭ সালে এস এস সি পাশ করে সাতক্ষীরা সরকারী কলেজে ভর্তি হয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ত করি। শুরু হয় আমার ছাত্র রাজনীতির পথচলা।
সাতনদীঃ ছাত্রলীগের কোন কোন শাখায় আপনি কোন কোন পদে ছিলেন?
আলমগীর নাজমুল হক পল্লবঃ ১৯৯৮ সালে আমার রাজনৈতিক যোগ্যতার প্রমান দিয়ে সরকারী কলেজ ছাত্র লীগের দপ্তর সম্পাদক হই। সে সময় পড়াশুনার পাশাপাশি আমি ছাত্রলীগের ছাত্রকর্মীদের সাথে নিয়ে ছাত্রলীগের পতাকা তলে শিক্ষার শুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে কাজ শুরু করি। শিক্ষার্থীদের নানা অসুবিধা নিয়ে কাজ করতে থাকি। ১৯৯৯ সালে আবারও আমার রাজনৈতিক যোগ্যতার প্রমান দিয়ে সরকারী কলেল ছাত্রলীগের যুন্ম আহবায়ক পদ লাভ করি। ২০০০ সালে জেলা ছাত্রলীগ কলেজ কমিটির সম্মেলন করায়। সেখানে আমি বিনা প্রতিদন্দি¦তায় সরকারী কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ জয়লাভ করি। ২০০১ সালে ১লা অক্টোবরের নির্বাচনে বি এনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট ক্ষমতা গ্রহন করলে আমি বেশ কিছু রাজনৈতিক মামলায় আসামি হই। ২০০২ সালে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের আগ পর্যন্ত আমার কলেজ রাজনীতি সফল ভাবে অতিবাহিত করি। তার পরও বিরোধী দলে থেকে আন্দলন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত রাখি। ২০০২ সলে জেলা সম্মেলনের মাধ্যমে আমি জেলা ছাত্রীগের সংাগঠনিক সম্পাদক হই। আট বছর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক পদে দায়িত্ব পালন করি। দীর্ঘদিন জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন না হওয়ায় কর্মকান্ড কিছুটা ঝিমিয়ে পড়লে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আবারও জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রয়োজন অনুভব করলে আমি সভাপতি পদে নির্বাচন করার প্রস্তুতি নেই। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সম্মেলনের তারিখ ঘোষনা করেন ২০১০ সালের ৮ই জানুয়ারি। তারপর সম্মেলনের আগ মুহূর্তে সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তন করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। যোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমেই সংগঠন বিকশিত হয়।
সবশেষে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মুনছুর আহম্মেদের স্ত্রীর মৃত্যুতে সকল ত্যাগী নেতাকর্মীর পক্ষে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
সাক্ষাতকার নিয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ