আহাদুর রহমান: পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে অবৈধ বিদুৎ সংযোগ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক ও যশোরের সুপারিনটেন্ড ইঞ্জিনিয়ার শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। বিদ্যুৎ সংযোগ গ্রহণকারীরা চিহ্নিত অবৈধ দখলদার ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, শহরের প্রাণ কেন্দ্র নিউ মার্কেটের উত্তর পার্শ্বে ৪ শতক জমির উপর অবস্থিত মার্কেটটি ২০০৫ সালে সাবেরা খাতুনের নিকট থেকে ক্রয় করেন, সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু। ওই বছরই তিনি নাম পত্তন করেন। বর্তমানে বাংলা ২৭ সাল পর্যন্ত খাজনাও পরিশোধ আছে। শেষ হওয়া মাঠ জরিপেও তার নামে রেকর্ড হয়েছে। কিন্তু পূর্বের মালিকের ভাড়াটিয়াদের মধ্যে প্রায় সবাই নতুন মার্কেটের মালিক নাছিম ফারুক খান মিঠুকে মালিক মেনে চুক্তি পত্র করে ব্যবসা করলেও জামায়াতের পৃষ্টপোষক আনিছ, নূরুল ইসলাম এবং শামসুল হুদা মােির্কটি জবর দখলের জন্য নান রকম ফন্দি ফিকির করে চলেছে। তারা দফায় দফায় আদালতে আবেদন নিবেদন করলেও তা অগ্রাহ্য হয়েছে অব্যাহত ভাবে। কিন্তু এই চক্রটিকে ইন্ধন দিয়ে থাকে শহরের কিছু মিডিয়া কর্মী ও রাজনীতিক। তাদের ইন্ধনে আনিছ, নূরুল হুদা ও নূর ইসলাম ষড়যন্ত্র শুরু করেছে মার্কেটটি জবর দখল করার জন্য।
এরই অংশ হিসাবে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ দাবী করে ওজোপাডিকো, সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর আবেদন করেন। কিন্তু আবেদনের সঙ্গে জমির মালিকানা কিম্বা দোকান ভাড়ার কোন চুক্তিপত্র দাখিল করেনি। কিন্তু বে-আইনি ভাবে ওজোপাডিকোর সাতক্ষীরার নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক আবেদনটি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরণ করেন ওজোপাডিকো যশোরের সুপারিনটেন্ড প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামের এর কাছে।
তিনি অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার জন্য সাতক্ষীরা নির্বাহী প্রকৌশলীকে পত্র দেন। পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনকারীরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করবে এমন শর্তে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে পাঁচ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়ে প্রকৌশলী জিয়াউল হক ও প্রকৌশরী শহিদুল ইসলাম অবৈধভাবে দখলদার জামায়াতের চিহ্নিত ব্যবসায়ী আনিছ, নূর ইসলাম ও নূরুল হদাকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন।
এদিকে মার্কেট মালিক সাতক্ষীরা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডষ্ট্রিজের সভাপতি নাছিম ফারুক খান মিঠু জানিয়েছেন তাকে মালিক মানেন ভাড়াটিয়া অরবিন্দু, আইউব হোসেন ও আশরাফ উদ্দীন। কিন্তু একটি মহলের ইন্ধনে আনিছ, নূর ইসলাম ও নূরুলহুদা মার্কেটের দোকানঘর জবর দখলের ষড়যন্ত্র করলে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হকের কাছে আবেদন নেই। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে নূর ইসলাম, আনিছ ও নূরুল হুদার বিদ্যুৎ সংযোগ কর্তৃপক্ষ বিচ্ছিন্ন করে দেন। ওই মার্কেটে মালিক হিসাবে ২০১০ সালে তার নামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।
কর্তৃপক্ষ তার মার্কেটে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, আমার আইনজীবী সংযোগ দেয়ার পূর্বেই লিগ্যাল নোটিশ দিলেও তা মানা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
ঘুষ দিয়ে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়ার কথা অস্বীকার করে আনিছ, নূর ইসলাম ও নূরুল হুদা জানান, যা করেছি বৈধ ভাবেই করেছি।
এ ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হক সাতনদীকে জানান, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পর উপরি মহলের আদেশের ফলে আবার পুনঃ সংযোগ দেয়া হয়েছে।
পাঁচ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট