নিজস্ব প্রতিবেদক: দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খেজুর বাড়িয়া গ্রামের যৌতুক লোভী স্বামী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে অসহায় স্ত্রী মানববন্ধন করেছে। মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় পারুলিয়ার খেজুর বাড়িয়া গ্রামের মৃত মান্দার সর্দারের ছেলে শ্যামনগর কাশিমাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক যৌতুক লোভী শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে তার স্ত্রীর নেতৃত্বে গ্রামের মহিলারা এ দীর্ঘ মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে যৌতুকলোভী শহিদুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তার স্ত্রী শারমিন সুলতানা বলেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯ টার দিকে তার স্বামী শ্যামনগর কাশিমাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন আমার টাকা লাগবে তোর (স্ত্রীর) বাপের বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা এনে দে। এত টাকা কিভাবে বাপের বাড়িতে চাইবো বললে আমার স্বামী আমাকে ব্যাপক মারপিট করে। সে দিনই আমার স্বামী বাড়ি থেকে চলে যায়। যাওয়ার সময় আমার শ্বাশুড়ী মাকে সাথে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আমার সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। আমার কোন খোঁজ খবর নেই না। আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। আমি খোঁজখবর নিয়ে যতটুকু জানতে পেরেছি আমার স্বামী শ্যামনগর কাশিমাড়ী শিক্ষকতা করার সুবাদে ওখানে প্রাইভেট পড়ায় এবং সেখানে সে বিভিন্ন স্থানে গোপনে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে । এর আগেও আমার স্বামী আমার বাচ্চা নষ্ট করার জন্য শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। এমনকি যৌতুকের টাকার জন্য বিভিন্ন সময় গালি—গালাজ করা সহ শারীরিক নির্যাতন করতো। যৌতুকের প্রতিবাদ করার ফলে আমাকে তালাকের হুমকি দিত। তিনি বাড়িতে না থেকে শ্যামনগর থাকতো। সেখানে খাওয়া— দাওয়া করতো। আমি তাকে বাড়িতে আসার জন্য বললে, সে বলতো তোর বাপের বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা এনে দে তাহলে আমি বাড়িতে আসবো। এমতাবস্থায় যৌতুকলোভী ও নির্যাতনকারী স্বামী শহিদুল ইসলামের হাত থেকে রক্ষা পেতে অসহায় স্ত্রী প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে শ্যামনগর কাশিমাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক পারুলিয়া খেজুর বাড়িয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।