স্পোর্টস ডেস্ক :
ইনজুরি কাটিয়ে পেসার মিশেল স্টার্ক ও পেস অলরাউন্ডার ক্যামেরুন গ্রিন ফিরতে পারেননি। দিল্লি টেস্টেও তাই ব্যাকফুটে অস্ট্রেলিয়ার। তারা না থাকলেও পেস বোলিংয়ে আগুন ঝরাতে পটু অস্ট্রেলিয়ার একাদশ দেখে চমকে ওঠার মতো। পেসার মাত্র একজন; প্যাট কামিন্স। তিন স্পিনার নিয়ে নেমেছে তারা।
একাদশ থেকেই অনুমিত, দিল্লির স্পিন সহায়ক উইকেটে স্পিনেই বেশি জোর দিয়েছে অজিরা। সাতজন বিশেষজ্ঞ ব্যাটার নিয়েছে। তবু কাজ হলো না। অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথমদিনের পুরোটা ব্যাটিং করা হলো না উসমান খাজা, পিটার হ্যান্ডসকম্বদের।
মোহাম্মদ শামির পেস বোলিংয়ে এবং রবিশচন্দন অশ্বিন ও রবিন্দ্র জদেজার স্পিন জুটিতে ৭৮.৪ ওভারে ২৬৩ রান করে অলআউট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষ ৯ ওভার ব্যাটিং করে ভারত কোন উইকেট না হারিয়ে ২১ রান তুলেছে।
ওপেনিং জুটিতে ৫০ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া ভালোর আশা দিয়েছিল। ডেভিড ওয়ার্নার ১৫ রানে ফিরলে জুটি ভাঙে। মার্নাস লাবুশানের সঙ্গে উসমান খাজার জুটিও সেট হয়েছিল। কিন্তু ১৮ রান করা টপ অর্ডার ব্যাটারকে তুলে নেন অশ্বিন। ওই ওভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন স্টিভ স্মিথ। শূন্য করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ৯১ রানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট হারায়।
এরপর ম্যাথু হেডের সঙ্গে জুটি গড়ায় চেষ্টা করেন খাজা। হেড ১২ রান করে শামির বলে আউট হন। খাজা ১২৫ বল খেলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ৮১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। জাদেজার বলে রিভার্স সুইপ খেলেন তিনি। কেএল রাহুল দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে সাজঘরে পাঠান সেঞ্চুরির আশা দেওয়া খাজাকে।
পরের লড়াইটা পিটার হ্যান্ডসকম্ব একাই করেছেন। তিনি ১৪২ বলের মুখোমুখি হয়ে ৭২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তাকে রেখে একে একে উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স কেরি (০), অধিনায়ক কামিন্স (৩৩), মার্পি (০), নাথান লায়ন (১০) ফিরে যান। কামিন্সের ইনিংসটা আরেকটু বড় হলে কিংবা আর একজন দৃঢ়তা দেখালে হ্যান্ডসকম্ব হয়তো দিনটা শেষ করতে পারতেন।
অজিরা এক পেসার নিয়ে খেললেও ভারত খেলছে দুই পেসার নিয়ে। মোহাম্মদ সিরাজ উইকেট না পেলেও মোহাম্মদ শামি ১৪.৪ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। অশ্বিন ২১ ওভারে ৫৭ এবং সমান ওভারে জাদেজা ৬৮ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।