অনলাইন ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর দরোজা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেই নবজাত পুত্রসন্তানের মুখ দেখেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। জীবন-মৃত্যুর ওই লড়াইয়ে সার্বক্ষণিক তার পাশে থাকা দুই চিকিৎসকের নামে সদ্যোজাত সন্তানের নাম রাখলেন তিনি।
বরিস জনসন মনে করেন, দুই চিকিৎসকের আন্তরিক সেবা না পেলে সুস্থ হয়ে ফেরা সম্ভব নাও হতে পারতো। প্রাণরক্ষার কৃতজ্ঞতায় তাদের নামের সঙ্গে মিলিয়েই ছেলের নাম রেখেছেন উইলফ্রেড লরি নিকোলাস জনসন।
বরিস জনসনের বান্ধবী ও বাগদত্তা ক্যারি সিমন্ডস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। শিশুর মা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিংসাইট ইন্সটাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, বরিস করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর, যে দুই ডাক্তারের আওতায় হাসপাতালে চিকিত্সাধীন ছিলেন, সন্তানের নামে তাঁদের নাম জুড়ে দিয়েছেন। এ ছাড়া, বরিস ও তাঁর বাগদত্তার দাদার নাম থেকেও খণ্ডাংশ মিলিয়ে ছেলের নাম রেখেছেন।
শনিবার ইনস্টাগ্রামে সন্তান কোলে নিজের ছবি শেয়ার করেন সিমন্ডস। তখনই সদ্যোজাত সন্তানের নামের ব্যাখ্যা দেন। বরিসের মতোই ঘন চুল শিশুর মাথায়। সন্তানের নামের বিবরণ দিয়ে সিমন্ডস বলেন, জনসনের দাদার নাম থেকে এসেছে উইলফ্রেড, আর তাঁর নিজের দাদার নাম থেকে নেওয়া হয়েছে লউরি। আর নিকোলাস রাখা হয়েছে ডাক্তার নিক হাট ও নিক প্রাইসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের কর্মীদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৩২ বছর বয়সি সিমন্ডস। তিনি বলেন, বরিস জনসন সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরার পর পরই আমার কোলে শিশুটি আসে। আমার হৃদয় এখন আনন্দে পরিপূর্ণ।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর লন্ডনের একটি হাসপাতালের আইসিইউতে টানা কয়েক দিন ছিলেন জনসন। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ফেরার কয়েক দিন পর, বুধবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পুত্র সন্তানের বাবা হন।
হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রতিক্রিয়া ছিল, ব্যাপারটি অন্যরকমও হতে পারত। গত বুধবার ছেলের জন্মের সময় স্ত্রীর পাশেই ছিলেন ব্রিটিশ এই প্রধানমন্ত্রী। পরে সেখান থেকে করোনা মহামারী মোকাবিলার নেতৃত্ব দিতে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।
ডাউনিং স্ট্রিট সূত্রে খবর, চলতি বছরের শেষে কিছু দিনের জন্য পিতৃত্বকালীন ছুটি নেবেন বরিস জনসন।
পূর্বপশ্চিম