মোঃহাসানউল্লাহ: দর্জি কাজ করে প্রতিবন্ধী স্বামীকে নিয়েই সুখে-দুখে দিন কাটত সাতক্ষীরা শ্যমনগর উপজেলার পদ্মপুকুর ইউনিয়নের বিলকিস বেগমের। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুল- এ প্রতিবেশির গাছ পড়ে ঘর ও সেলাই মেশিন দুটোই মাটির সাথে মিশে যায়। এরপর থেকে অনাহারে- অর্ধাহারে খুব কষ্টে দিন কাটছিলো তাদের। এ খবর পাওয়ার পর তার পাশে দাড়ালো সমাজ উন্নায়নমূলক সংগঠন হিউম্যানিটি ফার্স্ট।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) হিউম্যানিটি ফার্স্ট উদ্যোগে বিলকিস বেগমের হাতে সেলাই মেশিন, সুতা ও কাপড় তুলে দেন পদ্মপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য জাহানারা খানম। এ নিয়ে ১৩ জন দরিদ্র মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিয়েছে হিউম্যানিটি ফার্স্ট সংগঠন।
সেলাই মেশিন ও সেলাই সামগ্রী হাতে পেয়ে বিলকিস বেগম বলেন, আমার স্বামী মানসিক প্রতিবন্ধী তিনি ঘর থেকে বের হতে পারেন না। ঘরে আমার তিন মেয়ে। ঘরটুকু আর সেলাই মেশিন ছাড়া কিছুই ছিল না আমার। সেলাইয়ের কাজ করে যে টাকা রোজগার হতো তা দিয়েই কোন রকমে সংসার চলতো। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুল আমার শেষ আশ্রয়টুকুও কেড়ে নিয়েছিলো। কি করবো কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না। আজ হিউম্যানিটি ফার্স্ট সংগঠন আমাকে একটি সেলাই মেশিন ও সেলাই সামগ্রী দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ দেখিয়েছে। আমি হিউম্যানিটি ফার্স্ট সংগঠনের সাথে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।
এ বিষয়ে হিউম্যানিটি ফার্স্ট সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের প্রভাষক ইদ্রীস আলী বলেন, সমাজের অবহেলিত ও অস্বচ্ছল মানুষদের জন্যে কিছু করতেই সংগঠনটির এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ইতোমধ্যে ‘হিউম্যানিটি ফার্স্ট গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাহায্য, দুস্থ, অসহায় মানুষের চিকিৎসা, মেডিকেল ক্যাম্প, এতিমদের শিক্ষার ব্যয়ভার বহন, সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের ঝরেপড়া শিশুদের শিক্ষায় ফিরিয়ে আনতে ‘মানবিক স্কুল’ করে দক্ষিণ খুলনা অঞ্চলে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।