কুষ্টিয়া প্রতিবেদক: যেমনই হোক না কেন, বাঙালিদের ওই একটা কথাতেই সব কিছুর সমাধান, ‘দাঁড়ান এক কাপ চা নিয়ে আসি’ আমাদের মতে, একে বাংলার জাতীয় সম্ভাষণ বললে মোটেই অত্যুক্তি হয় না। বাঙালি গেরস্থালিতে আতিথ্য গ্রহণ করলে, সাধারণ ভাবে প্রথমেই যেটা সামনে হাজির হয়, তা হাল্কা খাবারের সঙ্গে এক কাপ চা। সরকারি বৈঠক থেকে বাণিজ্যিক অধিবেশন, চা ছাড়া সব কেমন যেন ফিকে। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলতে থাকা আড্ডায় মাটির কাপে চা একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন! তেমনি একটি ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় উত্তর রেলগেটের রাজুর চা ষ্টলে মাটির কাপে চায়ের আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। ভেড়ামারার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শ্রী বিধান কুমার কুন্ডু ও দৈনিক খোলা কাগজ পাঠক ফোরাম এগারজন’র প্রধান সমন্বয়কারী ও ভেড়ামারা প্রেসক্লাবের যুগ্ন আহবায়ক খোলা কাগজের ভেড়ামারা প্রতিনিধি এস.এম.আবু ওবাইদা-আল-মাহাদী’র পৃষ্ঠপোষকতায় উক্ত চায়ের আড্ডায় যোগ দেন, ভেড়ামারার বিশিষ্ট শিল্পপতি মনি গ্রæপের চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, উপজেলা মহিলা সংস্থার সমন্বয়কারী মোহাঃ আসমান আলী, তাহের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ধুবইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল হক, মোঃ দেলবার হোসেন, মোঃ সাইফুল ইসলাম, মোঃ শহিদুল ইসলাম, রাজন, তাপস, নাহিদ, সোহাগ প্রমূখ। শ্রী বিধান কুমার কুন্ডু জানান, ‘কাগজ, প্লাস্টিক, কাঁচে সব সময় মানুষ চা খেতে পছন্দ করে না। তাই চিন্তা করলাম মাটির ভাঁড়ের চা খাওয়ার একটি আড্ডা করলে মন্দ হয় না। কারণ এই মাটির ভাঁড়ের চায়ে পোড়া মাটির একটি গন্ধ আছে।’ সাংবাদিক আল-মাহাদী বলেন, ‘মাটির সাথে বাংলা ও বাঙালির আদিম সম্পর্ক তো আছে। আর তার সঙ্গে মাটির ভাঁড়ে চা, আহ কী বলবো! মাটির ভাঁড়ের চায়ের গুণগান শোনা গেল স্থানীয়দের মুখেও।
ভেড়ামারায় ‘মাটির কাপে চা’ আড্ডা
পূর্ববর্তী পোস্ট