ফারুক হোসেন: শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএস সি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রলয়ংকারী বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ অভিভাবকদের অতিরিক্ত ফি দিয়ে ফরম ফিলাপ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বোর্ডের নির্ধারিত করে দেয়া ফি’রচেয়ে ৮০০ টাকা করে বেশি নিচ্ছে আমাদের কাছ থেকে না দিলে পরীক্ষায় নিয়ে যাবে না এমন কথা বলছেন প্রধান শিক্ষক। বাধ্য হয়ে ২৭০০ টাকা দিয়ে ফরম ফিলাপ করতে হয়েছে এমন অভিযোগ করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিভাবক। বিষয়টি একজন অভিভাবক উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি তিনি। আরো অনেক অভিভাবকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্প্রতি বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেলেমেয়েদের অতিরিক্ত টাকা দিয়ে ফরম ফিলাপ করতে কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়াা অতিরিক্তটাকা নিচ্ছে প্রধান শিক্ষক। অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন দুই মাস কোচিং করানোর জন্য ৮০০ টাকা করে নিচ্ছে আমাদের কাছ থেকে।
টাকা নেযাার বিষয়টি স্বীকার করে সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা বোর্ড নির্ধারিত ফি ১৮৫০ টাকা ও ১৯৭০ টাকা নিচ্ছি। বাকি ৮০০ টাকা অতিরিক্ত পাঠদানের জন্যনেয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে এমন নীতি নির্ধারণের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাদেরকে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে চিঠি দিয়েছে অতিরিক্ত পাঠদানের জন্য। এছাড়া আরো বেশি নেয়ার কথা আছে কিন্তু আমরা অভিভাবকদের সাথে কথা বলে ৮০০ টাকা নির্ধারণ করেছি।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রবিউল ইসলাম বলেন, বোর্ড ফি ছাড়া অতিরিক্তকোন টাকা নেয়া হচ্ছে না। বাকি যে টাকাটা নেয়া হচ্ছে তা অতিরিক্ত ক্লাশ করানোর জন্য।
এ বিষযয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে বলেন, বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়া যদি কেউ এক টাকা বেশি নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অতিরিক্ত ক্লাস করানোর জন্যযে টাকা নেয়া হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, টাকা নিচ্ছে কিনা আমি জানিনা তবে শিক্ষকরা বিদ্যালয় চলাকালীন সময় অতিরিক্ত ক্লাস করাতে পারবে না। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয় চলাকালীন সময় ছাড়া পরে ক্লাস করতে পারবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় অফিসের কাজে চলে এসেছি পরে আপনার সাথে কথা বলব।
মুন্সীগঞ্জে সুন্দরবন হাইস্কুলে ফরম পূরনে অতিরিক্ত ফি নেয়ার অভিযোগ
পূর্ববর্তী পোস্ট