নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরায় একটি অপহরণ মামলা আপোষ মিমাংসা করে নেয়ার জন্য তদন্তকারি পুলিশ কর্মকর্তা বাদি পক্ষকের ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার বালিয়া গ্রামের মৃত মহেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে নীল কমল দাশ।
লিখিত বক্তবে তিনি বলেন, তার নাবালক মেয়ে পূজা দাশ স্থানীয় পল্লীস্মৃতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনির ছাত্রী। তার কর্তমান বয়স ১৫ বছর। মেয়ে পূজা স্কুলে যাওয়া আসার পথে একই উপজেলার খানপুর গ্রামের শিবপদ দাসের ছেলে বিষ্ণুপদ দাশ (২৩) প্রায়ই তাকে উত্যাক্ত করতো ও কু-প্রস্তাব দিত। এবিষয়ে আমি তাকে নিষেধ করার পরও বিষ্ণুপদ দাস আমার কথা না শুনে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।
একপর্যায় গত ২ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দোহার হাফিজিয়া মাদ্রাসারা সামনে থেকে বিষ্ণুপদ ও তার সহযোগি রত্না দাশ, মহাদেব দাশ, অলিপ দাশ ও শিবপদ দাশ আমার মেয়ে পূজা দাশকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি নিজে বিষ্ণুপদ দাশের অভিভাবকদের জানালে তার কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এমনকি বিষ্ণুপদ দাশের বাবা শিবপদ দাশ ৪ ফেব্রুয়ারী আমার মেয়েকে তালা থানায় হাজির করার কথা বলেও অদ্যবধী হাজির করেনি।
বাধ্য হয়ে আমি সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করি। বিচারক মামলাটি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পি.বি.আই খুলনাকে নির্দেশ দেয়। সে অনুযায়ী মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই পলাশ চন্দ্র রায় আমাদের দুই পক্ষকে খুলনা পি.বি.আই অফিসে ডেকে পাঠান।
নীল কমল দাশ অভিযোগ করে বলেন, নির্দিষ্ট দিনে আসামী পক্ষ আমার মেয়েসহ পি.বি.আই অফিসে হাজির হলেও তদন্তকারি কর্মকর্তা আমার নাবালক মেয়েকে উদ্ধার করে আমাদের কাছে না দিয়ে বরং বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করে নেয়ার জন্য আমাদেরকে বার বার চাপ দিচ্ছেন। ফলে আসামী পক্ষরা আরো উৎসাহিত হয়ে অমাদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ফলে আমি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তিনি অপহরণকারি চক্রের হাত থেকে তার নাবালক মেয়েকে উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।