নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকার শ্যামলী থেকে ছেড়ে আসা এমআর পরিবহনের এসি কোচের সুপারভাইজারকে যাত্রী ঠকানোর দায়ে মুচলেকা ও টাকা ফেরত দিতে হয়েছে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে যশোরের কেশবপুর থানায় ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, শুক্রবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার শ্যামলী থেকে এমআর পরিবহনের একটি এসি কোচ (ঢাকা মেট্রো-ব ১৩-১০০০) সাতক্ষীরার শ্যমনগরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কোচটি ছাড়ার কিছুক্ষন পরেই যাত্রীরা জানতে পারে পরিবহনের এসি আগে থেকেই নষ্ট। এ নিয়ে যাত্রীরা হৈ চৈ করতে থাকে। ঘন কুয়াশার কারনে পরিবহনটি রাতে পার হতে পারেনি। এ বিষয়ে সুপারভাইজারকে যাত্রীরা অনেক বার বলেও কোন সমাধান দিতে পারেনি। শনিবার সকাল ৮টায় ফেরি পার হয়ে পরিবহন চলতে থাকে। এর মধ্যে পরিবহনে থাকা অনেক মানুষ ও শিশু অসূস্থ হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে কেশবপুর থানা এলাকায় পৌছালে যাত্রীরা জোর করে পরিবহন থামিয়ে থানায় মৌখিক অভিযোগ দেয়। এ সময় কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু সাঈদ ও ওসি (তদন্ত) ওহিদুজ্জামান কড়া ভাষায় সুপারভাইজারকে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন। সুপারভাইজার বিকাশ চৌধূরী অনেক চেষ্টা করেও পরিবহন মালিক ও ম্যানেজারের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। সবশেষে সাতক্ষীরা কাউন্টারের ম্যানেজারের পরামর্শে এ ধরনের যাত্রী হয়রানি ভবিষ্যতে আর করবে না বলে থানায় লিখিত মুচলেকা প্রদান করেন এবং চেয়ার কোচের ভাড়া রেখে বাকি টাকা সকল যাত্রীকে ফেরত দেন।
এমআর পরিবহনের এসি কোচের যাত্রী মোঃ সিদ্দিকুল ইসলাম, মোঃ শাহ আলম ও ডাঃ দীপাঞ্জন ভট্রাচার্য্য জানান, এসি কোচের নামে যাত্রীদের ঠকিয়ে প্রতারনা করে অতিরিক্ত ভাড়া নেয়। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত ছিল। যাই হোক সবাই ব্যস্ততার কারনে অনেক ছাড় দিয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটালে তাদের কোম্পানির রুট পারমিট বাতিলের দাবীও জানান যাত্রীরা।
এমআর পরিবহনের সুপারভাইজার বিকাশ চৌধুরী ও চালক শাহজাহান জানান, আমরা এই গাড়ি নিয়ে ট্রিপে আসতে চাইনি। আমাদের জোর করে পাঠানো হয়েছে। এখন ঠেলা সামলাক।
কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবু সাঈদ ও ওসি (তদন্ত) ওহিদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, বিষয়টি শান্তিপূর্নভাবে সমাধান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন করলে তাদের আর কোন ছাড় দেয়া হবে না।