শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা:
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারদের পাহাড় সম দূর্নীতির সংবাদটি এখন সর্বত্র আলোচিত ও একের পর এক দূর্নীতির চাঞ্চল্যকর খবর লোক সমাজ সহ বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ায় শিক্ষা অফিসাররা বেসামাল হয়ে দুই সাংবাদিকের ক্ষয়ক্ষতি করতে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষা অফিসে কোটি টাকা দূর্নীতির দায়ে শিক্ষা অধিদপ্তর হতে শিক্ষা অফিসার আক্তারুজ্জামান মিলনকে ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায় ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। সেই সাথে সহকারী শিক্ষা অফিসার টিএম শাহ আলমকে বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলায় বদলি করেছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা অফিসারকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করায় নড়বড়ে হয়ে পড়েন সহকারী তিন শিক্ষা অফিসার ও অফিস সহকারী। কোটি টাকার দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় সহকারী শিক্ষা অফিসাররা ও অফিসের অফিস সহকারী মোঃ খায়রুল ইসলাম বিপাকে পড়েছেন।
তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে সাংবাদিকদের ৬ দফায় মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সংবাদিক শেখ আব্দুল হাকিম ও মোঃ ইব্রাহিম খলিল দূর্নীতির বিরুদ্ধে আপোষহীন হওয়ায় এবং নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকায় ম্যানেজ করতে ব্যার্থ হন উল্লেখিত শিক্ষা অফিসের পদে থাকা কর্তারা।
এদিকে শিক্ষক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতির খবর বার বার প্রকাশ করা থেকে সাংবাদিকরা বিরত না থাকায় উপায়ন্ত না পেয়ে শিক্ষা অফিসাররা শিক্ষা অফিসে ৫ নভেম্বর সকাল ১০ টায় গোপন বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে দুই দফায় সাংবাদিকদের হুমকী প্রদান করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শ্যামনগর থানায় ৯ নভেম্বন ৬ জনের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।
যাহার ডায়েরী নং ৪২৯। এ ঘটনায় চরম ভাবে ক্ষিপ্ত হন তিন সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহাগ আলম, সোহাগ হোসাইন, আজহারুল ইসলাম ও অফিস সহকারী খায়রুল ইসলামরা। গত ১০ নভেম্বর দুপুর ২ টায় ফের শিক্ষা অফিসে গোপন বৈঠক করেন সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষয় ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে। পরিকল্পনা মাফিক উল্লেখিত ব্যাক্তিরা বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতির মিশনে মাঠে নেমেছে বলে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয় অফিস সহকারী খায়রুল ইসলাম (কম্পিউটার কাম) জানান, গত ৫ নভেম্বর সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহাগ আলম নিউজ বন্ধ করার জন্য শিক্ষা অফিসে কয়েক জনকে নিয়ে বৈঠক করেন।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহাগ আলমের সাথে মুঠো ফোনে আলাপ চেষ্টাকালে ফোন টি বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি। সহকারী শিক্ষা অফিসার সোহাগ হোসাইন এর সাথে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতির জন্য মাঠে নামার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষা অফিসার আজহারুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার) এর সাথে মুঠো ফোনে আলাপকালে তিনি জানান, সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে ক্ষয়ক্ষতি ও গোপন বৈঠকের বিষয়টি আমার জানা নাই।