নিজস্ব প্রতিবেদক: শ্যামনগরের রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী গ্রামের চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিনকে নিয়ে একের পর এক মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীদের অব্যাহত মিথ্যাচার থেকে নিষ্কৃতি পেতে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চিংড়ি ঘের ব্যবসায়ী সাহাবুদ্দীন বাবু জানান, রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামে তাদের একটি চিংড়ী ঘের আছে। কালিঞ্চি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত মাদার নদী থেকে একটি মজবুত পাকা কলের মাধ্যমে ৮০‘র দশক থেকে তারা তাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে ঐ স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে চিংড়ী ব্যবসা পরিচালনা করছে । তার বাবা ও চাচারা দুই ভাই। কয়েক বছর আগে বাবা চাচা মৃত্যুবরণ করায় তারা অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে। সম্প্রতি অতি বর্ষনে এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ঘের সংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতাকে পুঁজি করে এলাকার একটি চক্রান্তকারী মহল আমাদের নামে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টায় লিপ্ত আছে।
এ বিষয়ে আমরা শ্যামনগর থানায় জিডি করি।জিডি নং ৬২১, ১১/০৭/২০২১ এবং জিডি নং ৯৭৮, ১৮/০৭/২০২১ দায়ের করি।পরবর্তীতে কালিন্চি গ্রামের কিছু চক্রান্তকারী ব্যক্তি নিজের হাতে আইন তুলে নিয়ে আমাদের পানির কলটি ভাঙচুর করে।এ ব্যাপারে আমরা শ্যামনগর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করি।পরবর্তীতে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং স্থানীয় রমজাননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় বিষয়টির একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।
উল্লেখ্য ঐ পাকা মজবুত কল দিয়ে দীর্ঘ ৩২ বছর পানি নিস্কাশন হচ্ছে, কিন্তু সাম্প্রতিক আকাশ বন্যার কারণে ঐ স্থান হতে পানি সরানোর ওভার পাইপগুলি স্থানীয় আব্দুল গফুর, আলম ভাঙ্গী, আব্দুল মাজেদ, মিজান, সিরাজ ও রুহুল আমিন তুলে ফেলে অত্র এলাকাকে পরিকল্পিতভাবে জলমগ্ন করে রাখে । এই ইস্যুটিকে কাজে লাগিয়ে তারা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ এবং পত্রপত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করা শুরু করে। দীর্ঘ ৩২ বছর আমাদের শান্তিপূর্ণ চিংড়ী ঘেরটির পাকা ড্রেনটি মাটি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হয়।শনিবার সকালে পাকা ড্রেন হতে মাটিগুলো পরিষ্কার করার সময় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জড়িয়ে আমার বিরুদ্ধে ওয়াপদা কাটার রিপোর্ট পত্রিকায় প্রকাশিত করা হয়।যেটি একেবারে ভিত্তিহীন এবং অবাস্তব।
উল্লেখ্য ইংরেজি ১৯৮৯ সালে আমার পিতা আবু নুর আলম পাউবোর অনুমোদন নিয়ে একতা ফিশ নামক চিংড়ি প্রকল্পটি পরিচালনা শুরু করে।এভাবেই সাতক্ষীরা জেলার হাজার হাজার চিংড়ি ঘের পরিচালিত হয়ে আসছে।বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিংড়ি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।সাতক্ষীরার মানুষের জীবন-জীবিকা চিংড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িত।
ষড়যন্ত্রকারীদের চক্রান্ত থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।