নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল পদে ঐ কলেজের উপাধ্যক্ষ জামায়াত নেতা জি এম আমির হোসেনকে নিয়োগ দেয়ার পায়তারা চলছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, জাতীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ের নীতিমালা মোতাবেক শ্যামনগর আতরজান কলেজের পিন্সিপাল শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২০ অক্টোবর সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে প্রিন্সিপাল পদে আগ্রহীদের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। বিভিন্ন বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ঐ কলেজের এসএম আফজালুল হক ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে জামায়াত নেতা, অত্র কলেজের উপাধ্যক্ষ জিএম আমির হোসেন কে প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ দেয়ার সব প্রস্তুতি অনানুষ্ঠিকভাবে চুড়ান্ত করেছেন। এখন শুধু মাত্র সরকারি আইন জায়েজ করতে লোক দেখানো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াত বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন তখনকার জামায়াতের এমপি গাজী নজরুল ইসলামের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে যাবতীয় কাজ করেছেন এই উপধ্যক্ষ। গাজী নজরুল এমপি’র রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে যাবতীয় গোপন লেনদেন ও শালিশ বিচারের দায়িত্ব ছিলো আমীর হোসেন এর উপর। যা স্থানীয় মানুষের জানার বাইরে নয়। এতোদিন মানুষের মুখ বন্ধ থাকলেও আমীর হোসেনকে প্রিন্সিপাল হিসেবে নিয়োগের কথা এলকায় ছড়িয়ে পড়লে একের পর এক বেরিয়ে আসছে আমীর হোসেনের কু-কর্মের লোমহর্ষক কাহিনী।
এদিকে শ্যামনগর থানা সূত্রে জানা যায়, শ্যানগর থানার মামলা নং-৪/৪০ তারিখ-০৮-০৩-২০১৮ ইং মামলার ২০নং আসামী এই আমীর হোসেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আমীর হোসেনের বিরুদ্ধে এই মামলা আদালতে চার্জ গৃহীত হয়েছে। অন্যদিকে দেখা যায়, গত ২৪/১০/২০০৩ সালে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক কাফেলা পত্রিকার এক খবরে প্রকাশ পায় গাজী নজরুল এমপি’র সাথে জিএম আমীর হোসেনের গোপন বৈঠক হয়েছে।
এ ব্যপারে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় আতরজান মহিলা কলেজের সভাপতি শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আতাউল হক দোলনের চাচা এস এম আফজালুল হকের সাথে। তিনি বলেন, আমার তো কোন অভাব নাই, যে ওই টাকার দরকার। তাছাড়া আমাকে কেউ বলতে পারবে না, আমি কারো কাছ থেকে কোন কাজের বিনিময় ঘুষ গ্রহণ করেছি। আর কলেজের প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আমি লোক মুখে শুনেছি, আমির হোসেন জামায়াতপন্থী কিন্তু, কোন জামায়াতের কমিটিতে নাম আছে কিনা জানি না।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত উপধ্যক্ষ জিএম আমির হোসেন বলেন, আমি পূর্বে জামায়াতের সাথে জড়িত ছিলাম। কিন্তু, বর্তমানে আর তা করি না। আমাকে প্রিন্সিপাল হতে দেবেনা বলে একশ্রেণির কুচক্রী মহল আমার নামে মিথ্যা নাশকতার মামলা দিয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সাথে। তিনি বলেন, অভিযোগটি সবে শুনলাম। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে যাচাই করাতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অভিহিত করব।