নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামনগরে বনদস্যু আজাদের কুড়ালের আঘাতে যতিন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুল আলিম আহত হয়েছে। গতকাল দুপুর ২টার সময়ে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আজাদ ও তার দুই পুত্র আশিক ও অনিছুর সহ আরও ৩জন ব্যক্তি ওঁৎপেতে বসে থাকে। কাজের শেষে দিনমুজুর মৃত্যু আব্দুর রউফ গাজীর পুত্র আব্দুল আলিম বাড়ী ফেরার পথে পিছু থেকে কুড়াল নিয়ে আব্দুল আলিমের মাথায় আঘাত করে এবং অনন্যরা তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। আব্দুল আলিম মাথার আঘাত নিয়ে প্রাণে বাচাঁর তাগিদে দৌড়াতে দৌড়াতে হাকচিৎকার করে। পরে এলাকার আমিনুর নামের এক ব্যক্তি দেখে হাকচিৎকার করে। পরে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে আজাদ সহ তার দলবল পালাতে থাকে। স্থানীয়রা আহত আব্দুল আলিমকে সাথে সাথে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। আব্দুল আলিমের অবস্থার অবনতি হলে পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে আব্দুল আলিমের স্ত্রী শ্যামনগর থানায় একটি মামলা প্রস্তুত চলছিলো।
এলাকা সূত্রে জানাগেছে, শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের যতিন্দ্রনগর গ্রামের মৃত্যু জুব্বার গাজীর পুত্র আজাদ গত ১৯৯০ সাল থেকে বাহিনীর প্রধান হিসাবে ছিল অত্যান্ত ধুর্ত। ভারত থেকে অস্ত্র ও মদক পাচারে এলাকার মধ্যে ১ম কোটায় তার নাম ছিলো। ১৯৯৫ সালে জেলে বাওয়ালীরা অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রধান মন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ দেয়। ৫ই নভেম্বর ২০০২ সালের শ্যামনগর থানার ৪১ ক্রমিকের সন্ত্রাসী হিসাবে কয়েক ডজন মামলা ও কুঁড়িটির অধিক সাধারন ডাইয়েরী চলমান আছে। ২০১৩ সালে জি আর ১৩/২৪৬, ২০১৪ সালে র্যাব-৬ ব্যাটেলিয়ন অভিযোগ করা হয়, ২০১৭সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেওয়া হয় যার স্বারক নং জ-৩২৮৯, ২০১৭ সালে জি আর ৩৯/৩০২, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল সাতক্ষীরা পিটিশন ১৮৭/২০১৭। সুন্দরবনের কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক স¤্রাট বনদস্যু আজাদ বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে জেলে বাওয়ালী। গত ১ বছরে মুক্তিপনের দাবীতে শতাধীক জেলেদের অপহরন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আজাদ কিশোর বয়স থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৯০ সাল থেকে বনদস্যুতা, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে। শুরু থেকে প্রশাসনের বাঁধা না পেয়ে সুকৌশলে বনদস্যুতায় পরিনত হয়েছে। এলাকাবাসি আরও বলেন, বনদস্যু আজাদের এই সব কার্যকালাপের সাথে তার আপন বড় বোন (স্বামি পরিত্যাক্তা) নুরজাহান বেগম জড়িত। আজাদের আপরাধের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ প্রতিরোধ করতে গেলে নুরজাহান বেগম উপরি মহলকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকে। অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য কারনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা করে না। এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বর্তমানে সুন্দরবনে বনদস্যুদের উপর সরকারের কড়া নজরদারির কারনে বনদস্যু আজাদ এলাকা গেড়ে বসেছে। বিভিন্ন সময়ে মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থের বিনিময়ে মামলা উঠানো তার একটা ব্যবসা হয়ে দাড়িয়েছে। আজাদের অত্যাচরে মুন্সীগঞ্জের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল সহ ৯টি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দ্বায়ের করে। সচেতন মহল সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আর্কাষন করেছে।
শ্যামনগরে বনদস্যু আজাদের কুড়ালের আঘাতে আহত ১
নিজস্ব প্রতিবেদক : শ্যামনগরে বনদস্যু আজাদের কুড়ালের আঘাতে যতিন্দ্রনগর গ্রামের আব্দুল আলিম আহত হয়েছে। গতকাল দুপুর ২টার সময়ে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আজাদ ও তার দুই পুত্র আশিক ও অনিছুর সহ আরও ৩জন ব্যক্তি ওঁৎপেতে বসে থাকে। কাজের শেষে দিনমুজুর মৃত্যু আব্দুর রউফ গাজীর পুত্র আব্দুল আলিম বাড়ী ফেরার পথে পিছু থেকে কুড়াল নিয়ে আব্দুল আলিমের মাথায় আঘাত করে এবং অনন্যরা তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। আব্দুল আলিম মাথার আঘাত নিয়ে প্রাণে বাচাঁর তাগিদে দৌড়াতে দৌড়াতে হাকচিৎকার করে। পরে এলাকার আমিনুর নামের এক ব্যক্তি দেখে হাকচিৎকার করে। পরে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে আজাদ সহ তার দলবল পালাতে থাকে। স্থানীয়রা আহত আব্দুল আলিমকে সাথে সাথে শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপে¬ক্স হাসপাতালে ভর্তি করে। আব্দুল আলিমের অবস্থার অবনতি হলে পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে আব্দুল আলিমের স্ত্রী শ্যামনগর থানায় একটি মামলা প্রস্তুত চলছিলো।
এলাকা সূত্রে জানাগেছে, শ্যামনগর মুন্সীগঞ্জ ইউনিয়নের যতিন্দ্রনগর গ্রামের মৃত্যু জুব্বার গাজীর পুত্র আজাদ গত ১৯৯০ সাল থেকে বাহিনীর প্রধান হিসাবে ছিল অত্যান্ত ধুর্ত। ভারত থেকে অস্ত্র ও মদক পাচারে এলাকার মধ্যে ১ম কোটায় তার নাম ছিলো। ১৯৯৫ সালে জেলে বাওয়ালীরা অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে প্রধান মন্ত্রী বরাবর একটি অভিযোগ দেয়। ৫ই নভেম্বর ২০০২ সালের শ্যামনগর থানার ৪১ ক্রমিকের সন্ত্রাসী হিসাবে কয়েক ডজন মামলা ও কুঁড়িটির অধিক সাধারন ডাইয়েরী চলমান আছে। ২০১৩ সালে জি আর ১৩/২৪৬, ২০১৪ সালে র্যাব-৬ ব্যাটেলিয়ন অভিযোগ করা হয়, ২০১৭সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দেওয়া হয় যার স্বারক নং জ-৩২৮৯, ২০১৭ সালে জি আর ৩৯/৩০২, নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল সাতক্ষীরা পিটিশন ১৮৭/২০১৭। সুন্দরবনের কুখ্যাত সন্ত্রাসী, মাদক স¤্রাট বনদস্যু আজাদ বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে জেলে বাওয়ালী। গত ১ বছরে মুক্তিপনের দাবীতে শতাধীক জেলেদের অপহরন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আজাদ কিশোর বয়স থেকে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৯০ সাল থেকে বনদস্যুতা, মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ শুরু করে। শুরু থেকে প্রশাসনের বাঁধা না পেয়ে সুকৌশলে বনদস্যুতায় পরিনত হয়েছে। এলাকাবাসি আরও বলেন, বনদস্যু আজাদের এই সব কার্যকালাপের সাথে তার আপন বড় বোন (স্বামি পরিত্যাক্তা) নুরজাহান বেগম জড়িত। আজাদের আপরাধের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ প্রতিরোধ করতে গেলে নুরজাহান বেগম উপরি মহলকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকে। অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য কারনে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা করে না। এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। বর্তমানে সুন্দরবনে বনদস্যুদের উপর সরকারের কড়া নজরদারির কারনে বনদস্যু আজাদ এলাকা গেড়ে বসেছে। বিভিন্ন সময়ে মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থের বিনিময়ে মামলা উঠানো তার একটা ব্যবসা হয়ে দাড়িয়েছে। আজাদের অত্যাচরে মুন্সীগঞ্জের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মোড়ল সহ ৯টি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যরা বিভিন্ন প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দ্বায়ের করে। সচেতন মহল সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আর্কষন করেছে।
শ্যামনগরে বনদস্যু আজাদের কুড়ালের আঘাতে আহত ১
পূর্ববর্তী পোস্ট