মোঃ আমজাদ হোসেন (মিঠু) শ্যামনগর: সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার আইলা দুর্গত নদীভাঙ্গন কবলিত দ্বীপ খ্যাত ১১নং পদ্মপুকুর ইউনিয়নে প্রায় ৩৮ হাজার মানুষের বসবাস। ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গা সহ পাতাখালী ওয়াপদার বেড়িবাধ অত্যান্ত ঝুকিপুর্ন। ঝুকিপুর্ন বেড়িবাধ রোধে পাউবো ব্লক দিয়ে সম্প্রতি ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছে। ভাঙ্গনকূল বেড়িবাঁধের ব্লক ভেঙে নদীর চরে পাকা প্লিয়ার করে দ্বীতল ভবন নির্মাণ করছেন পাতাখালী গ্রামের মৃত্য আবু তালেব সরদারের পুত্র মোঃ শরিফুল ইসলাম। এলাকাবাসীর ভাস্যমতে
শরিফুল এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু নামে পরিচিত। এলাকায় সাধারন মানুষ তার ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন, শফিকুল সম্পূর্ন গায়ের জোরে অপয়াদার ব্লক ভেঙে নদীর চরে পাকা ঘর নির্মাণ কাজ করছে। সে এখানকার সরকার দলীয় একজন প্রভাবশালী নেতার ছত্র ছায়ায় চলেন। তাই তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার মুখ খুলতে এলাকাবাসী সাহস পায় না।
সরেজমিন পরিদর্শন করে শরিফুলের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘর তৈরি করতে কারো অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। আর আমি এব্যাপারে আপনাদের সাথে কথা বলতে চাই না।
বিষয়টি নিয়ে পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ইউনিয়নের অনেক জায়গায় ওয়াপদার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। আর দোকান ঘর নির্মাণের বিষয়ে আমি কোনো কিছু জানিনা। যদি কেহ ওয়াপদার বেড়িবাঁধের উপর ঘর নির্মাণ করে থাকে যথাযথ পদক্ষেপ তাহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করবে।
এ বিষয়ে খুলনা জনের এস ও মোঃ মশিউর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নয়। যদি আইন অমান্য করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে তার বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্ৰহন করা হবে।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগন বলছেন এভাবে ভাঙ্গন কুলের ব্লক সরিয়ে দোকান নির্মাণ করলে যে কোন সময় ওয়াপদা ভেঙে প্লাবিত হতে পারে ইউনিয়ন ব্যাপী,এখনি ব্যাবস্থা গ্ৰহন না করলে ওয়াপদার বেড়ি বাধ রক্ষা করা অসম্ভাব হয়ে দাড়াবে। এলাকাবাসী দ্রুত সময়ের মধ্যে
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে তদন্ত পূর্বক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কারির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।