নিজস্ব প্রতিবেদক: যুগ-পুরুষোত্তম পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ১৩২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৪ই ফেব্রুয়ারি শুক্রবার (বাংলা -১ লা ফাল্গুন -১৪২৬) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নে অবস্থিত বাগডাঙ্গা সৎসঙ্গ বিহারে জন্ম মহো মহোৎসব এর আয়োজন করা হয়। বাগডাঙ্গা সৎসঙ্গ বিহার উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানসূচি পালিত হয়েছে। শুক্রবার ব্রক্ষ্ম মুহুর্তে মাঙ্গলিকী নবহৎ ও উষাকীর্তন। তৎপর প্রাতকালীন বিনতি প্রার্থনা, শ্রীশ্রী ঠাকুরের অমিয় গ্রন্থাদি পাঠ, অনুষ্ঠানের শুভ উদ্ভোদন ও কর্মীদের দ্বায়িত্ব বন্টন এবং নির্দিষ্ট সময়ে শ্রীশ্রী ঠাকুর, শ্রীশ্রী বড়মা, শ্রীশ্রী বড়দার ভোগ নিবেদন শেষে কার্তিক বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় শুরু হয় শিশু কিশোরদের নিয়ে বিচিত্রা অনুষ্ঠান। উক্ত বিচিত্রা অনুষ্ঠানে ভক্তি মুলক গান,কবিতা, ছড়া বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থের বানী পাঠের মাধ্যমে শেষ হয়। এরপরই দুপুরে সকল যুবক সৎসঙ্গীদের নিয়ে শুরু হয় সৎসঙ্গী যুব সম্মেলন। “যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি, সস্ত্যয়নী ও সদাচার” আলোচ্য বিষয়কে সামনে রেখে দীপঙ্কর বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সৎসঙ্গী যুব সম্মেলনে বক্তারা সুগভীর বক্তব্য প্রদান করেন । সৎসঙ্গী যুব সম্মেলনে আলোচ্য বিষয়কে সামনে রেখে বক্তারা বলেন, মানুষের কল্যাণে সৎসঙ্গ তৈরি করেছিলেন শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র। ঠাকুরের ইচ্ছা মাফিক কাজ গুলো দুর্বার গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এই কাযে অংশ নিয়ে জীবনকে সর্বাঙ্গ সুন্দর করি। বক্তারা আরো বলেন, যজন, যাজন, ইষ্টভৃতি, সস্ত্যয়নী ও সদাচার নিয়মিত পালন করলে জীবনে অবশ্যই পরিবর্তন আসবে।
বল উৎসবে মায়েদের জন্য “আদর্শ সমাজ গঠনে মায়েদের ভুমিকা ” আলোচ্য বিষয়ের উপর মায়েদের আলোচনার জন্য মাতৃ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মাতৃ সম্মেলনে কল্পনা রানীর সঞ্চালনায় বিষয় বস্তুর উপর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন মায়েরা ।
মাতৃ সম্মেলনে মায়েরা বক্তব্যে বলেন, ছোট বেলা থেকে শিশুদের মায়েরা সময় দিয়ে থাকেন বেশি। মায়েরা শিশু দের যেভাবে গড়ে তুলবে শিশুরা ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে। এই শিশুরা পরবর্তীতে বড় হয়ে সমাজের হাল ধরবে। সমাজের কল্যানকর কাজে নিয়োজিত হবে।
মাতৃ সম্মেলনের পরে বিকালে বিশেষ সঙ্গীতানুষ্ঠান এবং সন্ধ্যাকালীন বিনতী প্রার্থনা শেষে শুরু হয় সাধারণ ধর্ম সভা। উক্ত সাধারণ ধর্মসভায় “যুগসমস্যা সমাধানে পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের দিব্য ভাগবত জীবন ও বানী এবং তৎ প্রতিষ্ঠায় আচার্য্য পরম্পরা ” আলোচ্য বিষয় বস্তুকে সামনে রেখে দিনদীপ্তি বিশ্বাস এর সঞ্চালনায় সভাপতিত্বে সাধারন ধর্মসভায় উপস্থিত অতিথিগন ধর্মীয় বিষয়ভিত্তিক ও তাৎপর্য পুর্ন বক্তব্য প্রদান করেন। সাধারণ ধর্মসভায় বক্তরা বলেন, জগৎ পরিবর্তনশিল তাই সব কিছুর পরিবর্তন ঘটবে এইটা স্বাভাবিক। ব্যক্তিগত জীবনের পরিবর্তন খারাপ দিকে গড়ায় না যদি ঠাকুরকে মাথায় চলা যায়।
উৎসবে বক্তারা আরও বলেন, ঠাকুরকে মাথায় নিয়ে চললে অসম্ভব বলে কিছু থাকেনা। যতো কঠিন সমস্যা থাকুক না কেনো তার সহজ সমাধান দিয়েছেন শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র।
সাধারন ধর্মসভা শেষে বন্দে পুরুষোত্তম ধ্বনি দিয়ে মুল অনুষ্ঠান সূচির সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।
উল্লেখ্য, দিনব্যাপী সহপ্রতি ঋত্তিকদের দীক্ষা দানের সুব্যবস্থা ছিলো। এবং ভান্ডারের প্রসাদ বিতরন করা হয়ে ছিলো। উৎসবে জনগণের উপস্তিতিতে একটি জনসমুদ্রে পরিনত হয়।