নিউজ ডেস্ক:
শর্তসাপেক্ষে ৩৩৪ জন দক্ষ কর্মীকে উজবেকিস্তান পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সেখানে তারা ৬০০ ডলার থেকে এক হাজার ২০০ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা) পর্যন্ত বেতন পাবেন।
মেসার্স ডালাস ওভারসিজ (আরএল-৫৩২) রিক্রুটিং এজেন্সির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এন্টার ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুষমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব জানানো হয়েছে।
যেসব শর্তে কর্মীদের উজবেকিস্তান যাওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে তা হলো- প্রতিটি ফ্লাইটেরি ক্রুটিং এজেন্সির একজন প্রতিনিধি কর্মীদের সাথে উজবেকিস্তান যাবেন অথবা সংশ্লিষ্ট বিমান বন্দরে কর্মীদের গ্রহণ করার জন্য রিক্রুটিং এজেন্সির একজন প্রতিনিধি আবশ্যিকভাবে উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু প্রত্যেক গ্রুপে বাংলাদেশের কর্মীরা পৌঁছার পর রিক্রুটিং এজেন্সি অর্থ মন্ত্রণালয়, বিএমইটি এবং উজবেকিস্থান বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদানের পূর্বে নির্বাচিত প্রত্যেক কমিশনে নিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। বহির্গমন ছাড়পত্র প্রদানের পূর্বে বিএমইটিতে মূল চাহিদাপত্র ক্ষমতাপত্র ও অন্যান্য মূল কাগজপত্র দাখিল করতে হবে। বিএমইটি প্রাসঙ্গিক তথ্যাদিও কাগজপত্র যাচাই পূর্বক ছাড়পত্র প্রদান করবে।
কর্মীরা ভিসা অব লাইট নিশ্চিত হওয়া সাপেক্ষে রিক্রুটিং এজেন্সি কর্তৃক অভিবাসন ব্যয় বাবদ ৮০ হাজার টাকা কর্মীর নিকট থেকে চেক, ব্যাঙ্ক ড্রাফ্ট, পে-অর্ডারের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে এবং তার প্রমাণপত্র বিএমইটি বরাবরে উপস্থাপন করবে।
চুক্তিপত্রে কোনো শর্ত লঙ্ঘন হবে না, অনুমোদিত কর্মীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে অবশ্যই চাকরি পাবে এবং প্রত্যেক কর্মীকে প্রস্তাবিত বেতন-ভাতা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে এবং কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলো রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মীর থাকা-খাওয়ার খরচ ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আরোপিত ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা দাখিল করতে হবে।
চাকরির শর্তাবলী উজবেকিস্তানের সময়ের বিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হতে হবে। এ নিয়োগ সম্পন্ন করে অর্থ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। বিমান ভাড়াসহ অন্য ফি প্রযোজ্য না হলে তা কর্মীর ওপর বর্তাবে না।
১ জুলাই ২০১৭ থেকে ডাটাবেজ কার্যকর হওয়ায় ডাটাবেজ থেকে কর্মী নেয়ার বিষয়টি মহাপরিচালক বিএমইটি নিশ্চিত করবেন। বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিরপুর থেকে নিয়োগানুমতি প্রাপ্ত কর্মীদের দ্বৈবচয়ন পদ্ধতিতে দক্ষতা যাচাইয়ের পর স্মার্ট কার্ড ইস্যু করতে হবে।