ন্যাশনাল ডেস্ক:
আট দিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে হাটহাজারী মাদ্রাসায় ফিরে গেলেন হেফাজত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি। সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার হলে বিকালে তাকে মাদ্রাসায় তার বাসভবনে নেওয়া হয় ।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার এস এম হুমায়ুন কবির তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলা ট্রিবিউনকে চমেক হাসপাতাল পরিচালক বলেন, শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর আজ দুপুর ২টায় উনাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কামুক্ত। যেসব অসুস্থতা নিয়ে উনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সেগুলো এখন আর নেই।
এর আগে গত রবিবার (৭ জুন) রাত ৮টার দিকে বার্ধক্যজনিত জটিলতাসহ শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয় হাটহাজারী আল-জামিয়াতুল দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার এই মহাপরিচালককে। এরপর দিন সোমবার (৮ জুন) দুপুরে হেফাজত আমিরের শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। ওই মেডিক্যাল বোর্ডের অধীনে এতদিন তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মঈনুদ্দিন রুহী বলেন, হুজুর এখন পুরোপুরি সুস্থ। আজকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর বিকেলে উনাকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, শতবর্ষী প্রবীণ আলেম আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হেফাজত আমীরকে গত এক বছরে বেশ কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত ১১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বমি, মাথাব্যাথা, শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় হেফাজত আমিরকে চট্টগ্রামের প্রবর্তক মোড়ের সিএসসিআর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ১৪ এপ্রিল দুপুর ১টায় চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে তাকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়। পরে করোনা পরীক্ষা করানো হলে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। পরে ২৬ মে মাসের শেষের দিকে হেফাজত আমিরকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়।
তথ্য সূত্রঃবাংলা ট্রিবিউন