সাতক্ষীরায় করোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দূরত্ব না মেনে অহেতুক ঘোরাঘুরি করায় ৩১ জনকে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনসমাগম কমিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে ফেরাতে ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলাব্যাপী সাড়াশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার। জেলাব্যাপী চলছে মাইকিং, করা হচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে। একই সাথে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নারায়নগঞ্জ থেকে দেবহাটায় আসা চারটি পরিবারকে লক ডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব পরিবারের ২০ জন সদস্য বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন না। অনুরূপভাবে ভারত থেকে আসা ১৩ জনকে সাতক্ষীরা যুব উন্নয়ন ভবনে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অকারণে বাইক নিয়ে বাইরে আড্ডা দেওয়া ও ঘোরাফেরা করায় শ্যামনগরে ৪ জনকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনুরূপভাবে কালিগঞ্জে ২জনকে দেড় হাজার টাকা, আশাশুনিতে ৯ জনকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা ও অবৈধভাবে ইট পোড়ানোর জন্য বড়দল ইউনিয়নে মইনুল সরদারকে ৫ হাজার টাকা, তালায় ৭ জনকে ৩ হাজার ৮শ টাকা, কলারোয়ায় ৯জনকে তিন হাজার দুইশ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা বাড়ি বাড়ি গিয়ে কর্মহীন খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁেছ দিচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, করোনো ভাইরাস মোকাবেলায় ঘরে থাকার বিকল্প নেই। এজন্য সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরও অনেকে অসচেতনভাবে ও সরকারি নির্দেশনা না মেনে ঘর থেকে অপ্রয়োজনে বের হচ্ছেন। এজন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।