নিজস্ব প্রতিবেদক: হাসপাতালের বহি:বিভাগে অপেক্ষমান রোগীদের ওয়েটিং টাইম কমানোর ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে একটি কার্যকর সমাধানের উদ্ভাবন করেছেন সাতক্ষীরার তরুণ ও উদ্যামী চিকিৎসক, সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: সাইফুল্লাহ আল কাফি।
চিকিৎসা সেবায় উদ্ভাবনে বিশেষ অবদান রাখায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার মেধাবী এই চিকিৎসকের হাতে পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডা: কাফির হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন।
সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগে অবদানের জন্য ডা: সাইফুল্লাহ আল কাফিই একমাত্র পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার পেয়েছেন।
ডা: সাইফুল্লাহ আল কাফি ২০১৩ সালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ২০১৬ সালে ৩৪ তম বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগদেন তিনি। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে নিষ্টা ও আন্তরিকতার কারনে অতিঅল্পদিনেই তরুন এই চিকিৎসকের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।
ডা: কাফি তার উদ্ভাবন বিষয়ে বলেন, ‘আমার এই রহহড়াধঃরাব ঢ়ৎড়লবপঃ ধ২ এর রহহড়াধঃরড়হ ষধন এ চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ১৪ জুন ঢাকায় হহড়াধঃরড়হ ষধন এ ঞবপযহরপধষ ঊীঢ়বৎঃ চধহবষ এর সামনে রফবধ ঢ়ৎবংবহঃ করেসি । আশা করছি আমার উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তি ব্যবহারে সাধারণ রোগীদের কাজে আসবে’।
ডা: সাইফুল্লাহ আল কাফি সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য এড. মো: শহীদুল্লাহ (২) এর একমাত্র ছেলে। তার নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন ফহম উদ্দীন। যিনি উত্তর খুলনা মুক্তি বাহিনীর, ৯ নং সেক্টরের একটি সাব-সেক্টরেরর অধিনায়ক ছিলেন। তার স্ত্রী ডা: মাহফুজা আক্তার সীমা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক।
সাতক্ষীরায় স্বাস্থ্য বিভাগে পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার পেলেন ডা: কাফি
পূর্ববর্তী পোস্ট