নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে কর্মরত সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মানিক হোসেন দীর্ঘদিন যাবত সাতক্ষীরাতে কর্মরত আছেন। ইতোপূর্বে তিনি সাতক্ষীরার একাধীক উপজেলায় উপজেলা প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
অনিয়ম ও দুর্নীতির দায়ে ভোলা জেলায় বদলী করা হয়েছিল। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় সাতক্ষীরা বদলী হয়ে আসেন। অভিযোগ আছে, সাতক্ষীরাতে ফিরেই টেন্ডারবাজিতে আরো বেশি মনোনিবেশ করেন। তিনি বিভিন্ন ঠিকাদারদের সহিত যোগাযোগ শুরু করে দেন। যে সমস্ত ঠিকাদার রেটকোড ও এলটিএম টেন্ডারের লটারিতে উত্তীর্ন হয়ে কাজ পেয়ে থাকেন, ঐ সমস্ত ঠিকাদারদের নিকট হইতে কার্যাদেশ প্রদানের সময়ে ০.২৫% হতে ০.৫০% টাকা চুক্তি মূল্যের উপরে হাদিয়া নিয়ে থাকেন। জেলা ও জেলার বাইরের দূর্বল ঠিকাদারদের নিকট হইতে ১% থেকে ২% পর্যন্ত টাকা গ্রহন করে থাকেন।ওই প্রকল্প কাজ বাস্তবায়নের সময়ে ঠিকাদারকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুষিয়ে দিবে বলেও আশ্বস্ত করে। প্রসংগত ঠিকাদারদের কাজ শুরু করার পূর্বে ঘুষের পার্সেন্টিজ হিসসা করে নিয়ে নেন এবং কাজ বাস্তবায়নকালীন সময়ে সাইটে বিভিন্ন অজুহাত সৃষ্টি করে টেকনিক্যাল পদ্ধতিতে অধিক টাকা গ্রহণ করে থাকে।
অত্যাধিক উপরি কামাই রোজগারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত সম্পদের পাহাড় তিনি গড়ে চলেছেন।
উল্লেখ্য, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী প্রকল্প হতে মামলার রায় পেয়ে সরকারী পর্যায়ে পাকাপোক্ত হয়েছেন। এহেন পরিস্থিতে সাতক্ষীরা জেলার সার্বিক উন্নয়ন এবং কাজের মান বজায় রাখার স্বার্থে সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মানিক হোসেনকে অনতিবিলম্বে অন্যত্র যেকোন উপজেলায় বদলী জরুরী। সাতনদীদে একের পর এক দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর এ বিষয়ে জেলার আপামর জনসাধারন এসব দুর্নীতির বিষয়ে জানতে পারে। তারা উদ্ধতন কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা এলজিইডি’র সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী দূর্নিতীর শিখরে
পূর্ববর্তী পোস্ট