আতিয়ার রহমান, মণিরামপুর (যশোর) থেকে:
মাত্র ২৫ হাজার টাকায় চারদিনে ৭৫ হাজার টাকা ব্যবসা হলে কে করবে না গাঁজার ব্যবসা। ২৫ হাজার টাকায় ১কেজি গাঁজা, বিক্রি করতে সময় লাগে মাত্র চার দিন। অল্প পুঁজিতে এমন অধিক ব্যবসা হলে কে না করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বুধবার মণিরামপুর পৌর এলাকায় এক গাঁজা ব্যবসায়ী এমন তথ্য জানায়। গল্পে গল্পে এক পর্যায় এ গাঁজা ব্যবসায়ী এ প্রতিবেদককে জানায়, মণিরামপুর বাজারে এখন শীর্ষ গাঁজা ব্যবসায়ী। বস্তি এলাকার মৃত মুক্তারের ছেলে সেলিম ও হালিম। সম্প্রতি তারা পালসার গাড়ী কিনে দাপটের সাথে চলছে।
খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, মণিরামপুর পৌর শহরের পাবলিক লাইব্রেরী অঞ্চলে দিন-রাত গাঁজার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে হালিম ও সেলিমের পরিবার। এ পরিবারের প্রধান ছিলো গাঁজা মুক্তার। বস্তির বাসিন্দা এ গাঁজা মুক্তার গত সেপ্টেম্বরে স্প্রীড পানে মারা যায়। এরপর দু ছেলে হালিম, সেলিম, হালিমের স্ত্রী টুম্পা এবং মৃত মুক্তারের স্ত্রী আলতা বানু দিদারচ্ছে চালিয়ে যাচ্ছে গাঁজা ব্যবসা। তাহেরপুর বুনো পাড়ার প্রভাষ মন্ডল, হাকোবার স্বপন, জয়পুরের রাজ্জাক ও চালকিডাঙ্গার শামসুর গাঁজার বড় ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
খোঁজ খবর নিয়ে যায়, এসব ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে মানেজ করে হরদমে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা। এছাড়া প্রতিদিন বিকেল হলে কৃষ্ণবাটি কাবরা পাড়ায় যেন গাঁজার হাট বসে। মাদক নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন সময় অভিযান চললেও এসব গাঁজা ব্যবসায়ীদের কোন ঝামেলা নেই বলে দাবী করেছেন তাদের অনেকেই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গাঁজা বিক্রেতা জানায়, ভয় শুধু র্যাবকে নিয়ে। তারা টাকা খায় না। তা ছাড়া কমবেশি প্রশাসনের সবাই টাকা খায় এ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
দিন-রাত গাঁজা ব্যবসায়ীদের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ জনগণ। ভ‚ক্তভোগী জনগণ বিষয়টি খতিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।