ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি: পারিবারিক স্বচ্ছলতার জন্য কাজের সন্ধানে মালেশিয়াতে পাড়ি জমানো আল আমিন হোসেনের মৃতদেহ দেশে ফিরেছে। রোববার দেশের মাটি স্পর্শ করার পর সোমবার দুপুর নাগাদ জম্মস্থান শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামে পৌছে তার লাশ।
হত দরিদ্র হোসেন আলী গাজীর একমাত্র ছেলে আল আমিন ছয় বছর আগে সমিতি আর স্থানীয়দের থেকে ঋণ নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। মাত্র পঁচিশ বছর বয়সে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্যের এমন মৃত্যতে গোটা পরিবারে নিদারুন অসহায়ত্ব ভর করেছে।
নিহত আল আমিনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় গত ২৮ জুন নিখোঁজ হয় সে। করোনার সময়ে মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়া আল আমিনের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি সত্ত্বেও তার সন্ধান মেলেনি। এক পর্যায়ে মর্গ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাঠানো ছবির সুত্র ধরে ১৩ জুলাই আল আমিনের সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বিষয়টি তার পরিবার নিশ্চিত হয়।
আল আমিনের পিতা বৃদ্ধ হোসেন আলী জানায়, তিন সন্তানের সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরানোর আশা নিয়ে ঋণের টাকায় বিদেশে যেয়ে সেখানকার সেলুনে কাজ নেয় একমাত্র ছেলে আল আমিন। ছয় বছরে ঋণের টাকা পরিশোধ করার পর আল আমিন জানিয়েছিল আরও কিছুদিন বিদেশে কাজ করে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরার পর ভালমত পুঁজি নিয়ে দেশে ফিরে ব্যবসা করবে।
হোসেন আলী আরও জানায় দুই বছর আগে দেশে ফেরা আল আমিনকে কোনভাবে বিয়েতে সম্মত করানো যায়নি। পরিবারের জন্য নিজের সুখ-শান্তি বিসর্জন দেয়া আল আল আমিনের মৃত্যু আবারও তাদেরকে পথে বসিয়ে দিয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য করোনাকালীন সময়ের এক পর্যায়ে মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ায় আল আমিনকে সেখানকার চিকিৎসকের কাছ নেয়া হয়। কিন্তু তার কোন সমস্যা নেই জানিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে বাসায় পাঠানোর পর সকলের অগোচরে নিখোজ হওয়ার চারদিন পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। পরবর্তীতে মর্গ থেকে পাঠানোর ছবির সুত্র ধরে আল আমিনের নিহতের ঘটনা জানাজানি হয়।