নিজস্ব প্রতিবেদক: বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়নমূলক সমাজকল্যাণ প্রতিষ্ঠান সুমনা ফাউন্ডেশনের সেবামূলক কার্যক্রম নিয়ে সাতক্ষীরার আশাশুনিতে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পায়তারা করছে একটি স্বার্থান্বেষী মহল। সবরকম বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও হীন স্বার্থ চরিতার্থ না হওয়ায় মোবাইল সীম বিক্রির মাধ্যমে প্রতারনা করার মনগড়া অভিযোগ তুলে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টা করছে ঐ মহলটি। সীম গ্রাহকরা বলছে আমরা জেনে বুঝে সীম নিয়েছি এবং যে টাকা দিয়েছি তার চেয়েও বেশি টাকার সুবিধা পেয়েছি, প্রতিষ্ঠানটি আমাদের সাথে কোন প্রতারনা করেনি কিন্তু স্বার্থন্বেষী ঐ মহলটি বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা অব্যহত রেখেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সুমনা ফাউন্ডশন একটি সেবামূলক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সাত- ১২৫৭/২০১৬ নং নিবন্ধন এবং এনজিও এ্যাফেয়ারস্ ব্যুরো থেকে ৩১২৪/২০১৭ নং নিবন্ধনধারী। এই নিবন্ধনের আওতায় প্রতিষ্ঠানটি দেশের যেকোন এলাকায় সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা কররা বৈধতা রাখে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি পারিবারিক সুরক্ষা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এছাড়া মোবাইল অপরেরটর রবি’র সাথে প্রতিষ্ঠানটির একটি সমঝোতা চুক্তিও রয়েছে। চুক্তি অনুসারে যেকোন ব্যক্তি উক্ত কোম্পানির কর্পোরেট সীম গ্রহন করলে বিভিন্নরকম সুযোগ সুবিধা পাবে।
এদিকে পারিবারিক সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় কিছু উপকারভোগী নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তালিকাভূক্ত উপকারভোগীদের মধ্যে কেউ এই সীম গ্রহন করলে তিনি স্বাস্থ্য সেবা সুবিধা সহ সুমনা ফাউন্ডেশন থেকে অন্যান্য সহায়তা পেয়ে থাকেন। তবে বিপত্তি ঘটে অন্য জায়গায়। প্রতিষ্ঠানটির বৈধ নিবন্ধন থাকলেও কোন একটি এলাকায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ঐ এলাকার প্রশাসনিক প্রধান, জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে কার্যক্রম পরিচালনা করা একটি নিয়ম। কিন্তু সুমনা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোন অবহিতকরনের ব্যবস্থা করার আগেই এর সাথে কর্মরত আশাশুনির কাঁদাকাটি এলাকার দুই-তিন জন নতুন কর্মী প্রতিষ্ঠানের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নলেজের বাইরে গত রবিবার কাদাকাটির যদুয়ারডাঙ্গা সহ পাশের আরও একটি এলাকায় বেশকিছু ব্যক্তিকে এই সীম দেয়ায় স্থানীয় একটি স্বার্থান্বেষীমহল তা জানতে পারে। স্বার্থন্বেষী ঐ মহলটি উক্ত কর্মীদের কাছ থেকে অযৌক্তিক সুবিধা আদায়ের প্রস্তাব করে। কিন্তু তারা তাতে সাড়া না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঐ মহলটি। এ নিয়ে শুরু করে নানা প্রপাগান্ডা।
উপজেলার কাঁদাকাটি ইউনিয়নে মোবাইল সীম বিক্রির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানানটি গ্রামের মানুষের সাথে প্রতারনা করছে বলে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। অভিযোগটি পেয়ে সঙ্গত কারনেই তারা এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। এরপর বিষয়টি ঐ এলাকার মানুষের মাঝে একটি অন্যতম আলোচ্য বিষয় হয়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উক্ত প্রতিষ্ঠানের ঐ কর্মীরা প্রশাসনিক নিয়ম না বুঝেই তাদের নিজ এলাকা হওয়ায় কিছু ব্যক্তির কাছে রবি মোবাইল কোম্পানীর কর্পোরেট (এসএমই) সীম বিক্রি করেছে। তবে তারা সীম গ্রাহকদের ঠকায়নি বা তাদের সাথে কোন প্রতারনা করেনি। তারা সীম দিয়েছে ফ্রি। তবে গ্রাহককে ১৬০ টাকা করে রিচার্জ করতে হয়েছে। বিনিময়ে তারা তাৎক্ষনিকভাবে ফ্রি টকটাইম, ডেটা, এসএমএস পেয়েছে এবং আগামীতে স্বাস্থ্যসেবা সহ অন্যান্য সেবা পাবে।
এ ব্যাপারে সীম গ্রাহক যদুয়ারডাঙ্গা গ্রামের অলোক কুমার বলেন, আমরা সিম নিয়েছি এবং এজন্য ১৬০ টাকা করে প্রদান করেছি। এই ১৬০ টাকার বিপরীতে আমরা আমাদের মোবাইলে ২৩০ মিনিট টকটাইম, ২ জিবি ডাটা এবং ২০০ এসএমএস পেয়েছি। এছাড়াও আমাদেরকে ঐ প্রতিষ্ঠাটির পক্ষ থেকে শতকরা ৫০ ভাগ ছাড়ে চিকিৎসা সেবা, স্পেশাল চাইল্ড ও দুস্থ ব্যক্তিদেরকে মাসে ১০০ টাকা করে ভাতা, গাছের চারা সহ অন্যান্য সেবা দেয়া হবে বলে বলা হয়েছে।
একই গ্রামের রায় মোহন সরকারের স্ত্রী সিম গ্রাহক ঝরনা সরকার ও অমিত সানার স্ত্রী কনিকা সানা বলেন, আমরা একটি করে সিম কিনেছি এবং যে টাকা দিয়েছি তার চেয়ে বেশি পরিমান টাকার টাকটাইম, ডেটা এবং এসএমএস পেয়েছি। প্রাপ্ত টকটাইম দিয়ে আমরা বর্তমানে কথাও বলছি। আর আমাদেরকে যে ভাতা বা সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলা হয়েছে তা আমাদের কাছে বিশ^াসযোগ্য মনে হয়েছে। তারা আমাদের ঠকায়নি বা প্রতারনা করেনি। আমরা জেনে বুঝেই সিম নিয়েছি। সেখানে আমাদের ওয়ার্ড মেম্বর অমৃত সানাও ছিল। তিনিও বিষযটি জানেন।
একই গ্রামের ব্রজেন্দ্রনাথ সানার পুত্র সিম গ্রাহক বাসুদেব সানা বলেন, তারা আমাদের এই সিম কিনতে বাধ্য করেনি। তাদেরকে প্রতারক বলেও মনে হয়নি। তাদের সেবা ও সুযোগ সুবিধা প্রদানের কথা শুনে বিশ^াসযোগ্য মনে হয়েছে, ভাল লেগেছে তাই সিম কিনেছি।
একই গ্রামের ভোলানাথ সরকারের স্ত্রী সিম গ্রাহক মমতা সরকার বলেন, সিম কেনার সময় রিচার্জ করতে ১৬০ টাকা দিয়েছি। কেনার দিন থেকে এই পর্যন্ত (৩/৪ দিন) একটানা ফ্রি কথা বলছি। এইতো টাকা উঠে গেছে। আর যে সব সুবিধা দেয়া হবে বলা হয়েছে তার জন্যে তো সামনে সময় আছে। তাই বলবো তারা আমাদের সাথে কোন প্রতারনা করেনি।
একই গ্রামের রেবতি সরকার বলেন, এই সিম যে কেউ কিনতে পারছে। তবে গ্রাহকদের মধ্য থেকে যারা গরীব দুঃস্থ, অসহায় তাদেরকে ঐ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফ্রি ভাতা, স্বাস্থ্য সেবা সহ তাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নরে জন্য অন্যান্য সুবিধা দেয়া হবে বলে বলা হয়েছে। সাতক্ষীরায় তাদের অফিস আছে এবং প্রতিষ্ঠানটি সাতক্ষীরাতে এই জাতীয় সেবামূলক কাজ করে থাকে বলে জানতে পেরেছি। তাই তারা কোন মানুষকে ঠকিয়েছে বা ঠকাবে বলে মনে হয়নি।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট (কাদাকাটি ৫নং) ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অমৃত সানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি যখন এখানে সিম বিক্রির বিষয়টি জানতে পারি তখন সেখানে যেয়ে বিক্রেতাদের সাথে কথা বলি। এরপর আমি ইউপি সচীবের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করি। তিনি আমাকে বলেন, সুমনা ফাউন্ডেশনের দু’জন কর্মী পরিষদে এসেছিল। এ ব্যাপারে বলেছে। তবে তাদের পরিষদে চিঠি দেয়ার কথা ছিল।
মেম্বর অমৃত সানা আরও বলেন, তারা যদি এখানে সিম বিক্রি করেও থাকে তবে গ্রাহকরা তাদের টাকার বিনিময়ে সিম, মিনিট প্যাক, ডেটা প্যাক পেয়েছে বলে জেনেছি। আর যেসব ভাতা/সুবিধা দিতে চেয়েছে তার জন্য সময় আছে। মাত্র ২/৩ দিন হয়েছে। তাই এটাকে প্রতারণা বলা যায় না।
সিম গ্রাহকরা এরুপ মন্তব্য করছে জানতে পেরে স্বার্থন্বেষী ঐ মহলটি আরও সুচতুরভাবে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা করতে থাকে। তারা এই বলে প্রচারনা চালাতে থাকে যে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, বয়স্ক ভাতার অনলাইনে টাকা দেয়ার জন্য এই সিম বিক্রি করা হচ্ছে। বিষটির
এ ব্যাপারে উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামে খোঁজ নেয়া হলে জানা গেছে, ভাতাগোগী বা ভাতাভোগী নয় এমন অনেক ব্যক্তিই সিম কিনেছে। অর্থাৎ যে কেউ এই সিম নিতে পারছে।
ঐ গ্রামের জগন্নাথ, রঞ্জন বিশ^াস, নরেন্দ্র মন্ডল, সুকান্তর স্ত্রী অঞ্জনা, আশুতোষের স্ত্রী দুলি সহ অনেকেই এই সিম কিনেছে। কিন্তু তারা কেউই সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ভাতা ভোগী নয়। জগন্নাথ বলেন, আমি কোন ভাতাভোগী নই। স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার জন্যই আমি একটি সিম নিয়েছি। তারা একটি স্বাস্থ্যসেবা কার্ডও দিয়েছে। রিচার্জ করার জন্য ১৬০ টাকা দিয়েছি। বিনিময়ে মিনিট প্যাক, ডেটা প্যাক পেয়েছি।
রঞ্জন বিশ্বাস ও তার পুত্র রায়মন বিশ্বাস বলেন, আমরা সমাজসেবা অফিস থেকে কোন ভাতা পাই না। আমরা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য সিম নিয়েছি। আমরা কোন প্রতারনার শিকার হইনি।
সিম বিক্রির বিষয়ে সুমনা ফাউন্ডেশনের কর্মী আলী রাজ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের অল্প বয়স। কিছুদিন হলো আমরা সুমনা ফাউন্ডেমনে কাজ পেয়েছি। প্রশাসনিক নিয়ম কানুন আমরা এখনো ভালো বুঝি না। কাদাকাটি এলাকায় আমাদের বাড়ী। তাই সংস্থায় আমাদের পারফরমেন্স ভাল করার জন্য আমরা নিজেদের এলাকায় কিছু ব্যক্তিকে ফ্রি সিম দিয়েছি। ঐ সিমে রিজার্জ করার জন্য গ্রাহকরা ১৬০ টাকা করে দিয়েছে। বিনিময়ে তারা টকটাইম, ডেটা প্যাক পেয়েছে এবং আমাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গ্রাহকদের স্বাস্থ্য সেবা সহ অন্যান্য সেবা দেয়া হবে।
তিনি আর বলেন, সিম বিক্রির বিষয়ে জনৈক ব্যক্তি আমাদের সাথে কথা বলে এবং তার সাথে মিটমাট করার জন্য বলে। অর্থাৎ তিনি আমাদের থেকে কিছু ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেন। কিন্তু আমরা তার কথায় সাড়া না দেয়ায় আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য তিনি সহ কয়েকজন পায়তারা চালাতে থাকে। তবে বিষয়টি নিয়ে নানাদিক দিয়ে কথা আসতে থাকায় আমরা এ এলাকায় কাজ বন্ধ কওে দিয়েছি। আর এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই সুমনা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এর কার্যক্রম সম্পর্কে বিবরণ ও প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত কাগজপত্রাদি সংযৃক্ত করে আশাশুনি উপজেলা নির্বাহি অফিসার, সমাজসেবা কর্মকর্তা এবং কাদাকাটি ও কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যানকে অবিহিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সুমনা ফাউন্ডেশনের সাধারন সম্পাদক এ এস এম মাকছুদ খান জানান, সুমনা ফাউন্ডেশনের সমাজসেবা অধিদপ্তর প্রদপ্ত নিবন্ধন নং সাত- ১২৫৭/২০১৬ এবং এনজিও এ্যাফেয়ারস প্রদত্ত নিবন্ধন নং ৩১২৪/২০১৭। উক্ত নিবন্ধন এবং সাতক্ষীরা জেলার সমাজসেবা কার্যালয়ের অনুমোদনের আলোকে “গ্রামীন অসহায় ও দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টি, নারী, শিশু ও কিশোর, বেকার যুবকদের আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা তৈরী, উদ্যোক্তা তৈরী, পারিবারিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, মা ও শিশুর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান, প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় সচেতনতা সৃষ্টি, বিনামূল্যে রক্তদান এবং করোনা আক্রান্তদের জন্য বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করা সহ অন্যান্য সমাজসেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটিতে“পারিবারিক সুরক্ষা প্রকল্প” নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। মোবাইল সেবা কোম্পানি রবি’র সাথে আমাদের প্রতিষ্ঠাপনের একটি সমঝোতা চুক্তি স¦াক্ষরিত আছে। উক্ত সমঝোতার আলোকে আমরা আমাদের উপকারভোগীর মাঝে বিনামূল্যে মোবাইলের এসএমই কর্পোরেট সিম দিয়ে থাকি। সিম গ্রহনের সময় গ্রাহককে ১৬০ টাকা রিচার্জ করতে হয়। তবে এই টাকা তারা মোবাইলের মাধ্যমে ফেরৎ পেয়ে থাকে। তারা এই টাকার সমপরিমান টক টাইম এবং ডেটা অফার সহ অন্যান্য মোবাইল সেবা পেয়ে থাকে। তাছাড়া সিম গ্রাহকরা (তাদের প্রতিবন্ধি শিশুরা) প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে ১০০ টাকা হারে ফ্রি ভাতা ভাতা পাবে। প্রত্যেক গ্রাহক একািট করে স্বাস্থ্য সেবা কার্ড পাবে যার মাধ্যমে তারা শতকার ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ছাড়ে চিকিৎসা সেবা পাবে। এছাড়া বিনামূল্যে গাছের চারা, অক্সিজেন সেবা সহ অন্যান্য সেবা পাবে। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য আমরা উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি অবহিতকরন সভা করে কাজ শুরু করব বলে পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু করোনা ভাইরাস জনিত সমস্যা ও লকডাউনের কারনে তা এখনো সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে এই প্রতিষ্ঠানের দু’জন নতুন কর্মী তাদের বাড়ির এলাকায় কিছু ব্যক্তিকে সিম দিয়েছে, যা আমার জানার বাইরে ছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা উঠায় আমি তাৎক্ষনিকভাবে সংশ্লিষ্ট এ সংক্রান্ত কাজ বন্ধ করে দিয়েছি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন সনদের অনুলিপি ও অন্যান্য কাগজপত্র সহ জেলা প্রশাসক, বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তা এবং আশাশুনির কাদাকাটি ও কুল্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে পত্র মারফত অবহিত করেছি। এ সময় তিনি সুমনা ফাউন্ডেশনের সেবামূলক কাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং এই প্রতিষ্ঠানের দ্বারা কেউ প্রতারিত হবে না বলেও জানান।
এ ব্যাপারে কাদাকাটি ও কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা ১০ আগস্ট মঙ্গলবার সুমনা ফাউন্ডনের পক্ষ থেকে একটি অবহিতকরন পত্র পেয়েছেন বলে জানান।