আহাদুর রহমান (জনি): ‘বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের জন্য রাজনীতি করতেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বিশ্ব মাপের নেতা হয়েছিলেন। দুঃখের বিষয় আমরা বাঙালিরাই আমাদের এ নেতাকে হত্যা করলাম। রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে মাত্র সাড়ে তিন বছর তিনি দেশ শাসন করেছেন। তিনি যে রূপরেখায় বাংলাদেশকে উঁচু স্থানে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তিনি তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি।’ বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে সাতক্ষীরা পৌর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ নজরুল ইসলাম কথা গুলো বলেন।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘আজ বঙ্গবন্ধু কন্যার ৭৫তম জন্মদিন বঙ্গবন্ধু মাত্র ৫৫ বছর বেঁচে ছিলেন। এই অল্প সময়ে তিনি শুধু বাংলাদেশের নেতা হননি। তিনি বিশ্বের বিশ্ব নেতা হিসেবে তিনি পরিচিত হয়েছেন। এদেশের কল্যাণের জন্য আওয়ামী লীগের আহবানে সাড়া দিয়ে তিনি এদেশে এসেছিলেন। তিনি কিন্তু হঠাৎ করে এসে সোনার চামচ মুখে দিয়ে রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যেতে পারেননি। তিনিও ৮১ সাল থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত আন্দোলন, সংগ্রাম এবং আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। প্রথম ৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে তিনি ক্ষমতায় আসেন। সে সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি বাংলাদেশের চিত্র পাল্টে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এরপর পরপর তিনবার হেট্রিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশ পরিচালনা করছেন তিনি। তিনি আজ বাংলাদেশে নাই। তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সমাবেশে উপস্থিত আছেন। জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধু প্রথম বাংলায় ভাষণ দেন। প্রধানমন্ত্রী তার পিতার মত জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন। দেশের প্রভ‚ত উন্নয়নের জন্য তিনি জাতিসংঘ থেকে একাধীক পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন। দেশের এ রত্নের আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন প্রধানমন্ত্রী।’
অথিথিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার পর ২৩ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যায়নি। এ সময় দলের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি হলে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়। সেই থেকে দল সুসংগঠিত হয়েছে। এবং তা শক্ত অবস্থাসাতক্ষীরা পৌর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মোঃ নুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ আব্দুর রশিদ, জেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ নুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু কল্পিত রূপরেখা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলনেতা শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। আজ শিশুরা বছরের প্রথম দিনই হাতে বই পেয়ে বই উৎসবে মেতে উঠে। দেশে হেভিওয়েট প্রকল্প পদ্মাসেতু প্রায় শেষ পর্যায়ে। আমাদের মাথার ছায়া হয়ে আমাদের নেত্রী অনেকদিন বেঁচে থাকুন এই আশা করি।
বিশেষ অতিথি জেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সভাপতি মোঃ রাশেদুজ্জামান রাশি বলেন, ‘আজ আমরা প্রধামন্ত্রীর জন্য দোয় করবো। এ জন্য দোয়া করবো বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন তার কন্যা মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্ন পূরণ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ১৮ বার হত্যার চেষ্ঠা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন সে স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে যাচ্ছেন।’
বিশেষ অতিথি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন বলেন, ‘ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের শিশুরা যে বছরের প্রথম দিনই বই পায় তাই নয় তাদের স্কুল ব্যগ, স্কুল ড্রেসসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনার সুবিধার্থে বাড়তি দুই হাজার করে টাকা পায়। এসবই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টা। এ পর্যন্ত এ জনদরদী নেত্রীকে হত্যার জন্য ২১বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। সর্বশেষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। বহু নেতা কর্মী প্রাণ হারালেও আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রীর প্রাণ রক্ষা পায়। তা না হলে দেশ আজ এতদূর আসতে পারতো না।’
সাতক্ষীরা পৌর শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবীর হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আব্দুর আলিম সরদার, গোলাম মোস্তফা, তৈয়বুর, আফছার, মেহেদী, সোহেল, আলমগীর, মঞ্জুরুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জনসাধারণের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। প্রধামন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করো দোয়া শেষে কেক কেটে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।