আলিপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে গাংনিয়া সবুজ সংঘ চ্যাম্পিয়ন

নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরার ভোমরা ইউনিয়নের আলিপুরে ৮ দলীয় নক-আউট লক্ষ টাকার ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১৯ এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকালে দক্ষিণ আলিপুর দ্যা ইয়ং স্পোটিং ক্লাবের আয়োজনে দক্ষিণ আলিপুর প্রিয়নাথ ফুটবল মাঠে দক্ষিণ আলিপুর দ্যা ইয়ং স্পোটিং ক্লাবের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান সুমন’র সভাপতিত্বে ফাইনাল খেলার উদ্বোধন এবং বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মাঝে পুরস্কার প্রদান করেন বাংলাদেশ সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা সদর ০২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি রবি বলেন,‘খেলায় হারজিত আছে মেনেই খেলতে হবে। বড় মন একটি জাতি ও গৌষ্ঠিকে অনেক সফলতা এন দেয়। দু’দিনের দুনিয়ায় বড়ত্ব জাহির করার কিছুই নেই। সকলের সাথে মিলে মিশে ভাল আচরণ করা সবার উচিত। হিংসা বিদ্বেস অহংকার সব কিছু ধ্বংশ করে দেয়। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ দূর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। শেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলিপুর ইইপি চেয়ারমান মো. আব্দুর রউফ, জেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মকসুমুল হাকিম, ডা. মুনছুর আহমেদ, যুব নেতা মীর মহিতুল আলম মহি, সদর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. মিজানুর রহমান মিজান, আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহিউর রহমান (ময়ুর ডাক্তার), সাধারণ সম্পাদক মো. সাহারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর বিন সেলিম যাদু প্রমুখ। ফাইনাল খেলায় অংশ নেয় গাংনিয়া সবুজ সংঘ বনাম পিডিকে মিতালী সংঘ কালিগঞ্জ। খেলার প্রথমার্ধের গাংনিয়া সবুজ সংঘের ১১নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় সাব্বির একটি গোল করে দলকে এগিয়ে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় একই দলের খেলোয়াড় ৪নং জার্সি পরিহীত খেলোয়াড় বিজয় আরো একটি গোল করে। পিডিকে মিতালী সংঘ কালিগঞ্জ গোল পরিশোধের চেষ্টা করেও গোলের দেখা পায়নি। ফলে পিডিকে মিতালী সংঘ কালিগঞ্জকে ২-০ গোলে হারিয়ে গাংনিয়া সবুজ সংঘ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলার রেফারী ছিলেন নাসির উদ্দিন এবং সহকারি ছিলেন পিপুল খান, স্বপন ও সাম্মু। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন দক্ষিণ আলিপুর দ্যা ইয়ং স্পোটিং ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন।