আশাশুনি রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর ঈমান উদ্দিনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কর্তৃক Ahadur Rahman Jony
০ কমেন্ট 39 ভিউস

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরেজমিনে উপজেলা রিসোর্স সেন্টার অফিস টাইমে দেখাযায় ভিতরে দরজা খোলা, মেইন গ্রিল তালা মেরে সপ্তাহে মাত্র ২ দিন অফিস করে আশাশুনি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর ঈমান উদ্দিন।
জানা গেছে, ইন্সট্রাক্টর ঈমান উদ্দিন কর্মস্থলে সরকারি কোয়ার্টারে না থেকে সাতক্ষীরা সদরে পরিবার নিয়ে বসবা করেন। কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে থাকার বার্ধতামূলক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারের রাজস্ব বঞ্চিত করছেন। এছাড়া সাতক্ষীরা সদরে থাকার কারণে প্রায়ই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন। উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে পরির্দশনে যাওয়ার কারণে মাঝে মধ্যে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন বলে জানান তিনি। তবে খোজ নিয়ে জানা গেছে এ অযুহাতে তিনি সপ্তাহে মাত্র ২দিন অফিস করেন।
এদিকে দ্বিতীয় ব্যাচের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, ঈমান স্যার প্রশিক্ষণে কত টাকার নাস্তা খাবো সেটা নির্ধারণ করে আগে থেকেই নৈশ প্রহরীর বাসারের কাছে জমা দিতে হতো। নাস্তার টাকা কর্তণ করে উদ্বৃত্ত টাকা ভাগ বাটোয়ারা করেন।
পূর্বের প্রথম ব্যাচ এভাবে চলেছে জানতে পেরে, কমলেশ, শিবভোলা খায়রুল ৫/৭ জন প্রতিনিধি দল বাসারের কাছে খরচ দেখতে চাইলে বাসার বাধ্য হয়ে দেখান। দেখে বলেন, আমরা মাথাপিছু দিয়েছি ১২০ টাকা করে খেয়েছি মাথাপিছু ৫২ টাকা করে। বাকী টাকা আমরা দিবো কেন? তখন বাসার বলে এটা স্যারের সাথে গিয়ে বোঝেন। এরপরে আবার দাদার কাছে জানতে চাইলে দাদা বলেন, এটা বাসারের ব্যাপার। বাসারের সাথে গিয়ে বোঝেন। তারপরে তারা বাধ্য হয়ে স্যারের কাছে বিষয়টি বলেন। স্যার তখন বলেন, এই বাসার ১৯/২০ হবে। তাই বলে ২০/৪০ হবে না। টাকা ফেরত দিয়ে দাও। আবার প্রতিটি ব্যাচে ৫ প্যাকেট করে নাস্তা বেশি আনতে হবে এটা স্যারের নির্দেশ। ওই দিন ভোটের প্রশিক্ষণেও আলোচনা হলে একজন বলেন, চিন্তা করিস না ও টাকা নিয়ে আসবে।
একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঈমান স্যার কোর্স কো অর্ডিনেটর ও একজন প্রশিক্ষকের দুটি ভাতা নেওয়ার জন্য জোর আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত একজন প্রশিক্ষক ভাতা নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়। তবে উল্লেখ থাকে তিনি কোর্স কোঅর্ডিনেটরে নাম লেখাবেন বলে বেশির ভাগ সময় অনুপস্থিত থাকেন।
স্কুল পরিদর্শনের নাম করে বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রি কালেকশন করে ব্যাগে ভরে বাড়ি নিয়ে যান। যেমন হেতালবুনিয়া প্রশি সুভাষ চন্দ্র সানার কাছ থেকে বাগদা, গুনাকর কাটি স্কুল থেকে কাঁঠাল এবং বাহাদুরপুর স্কুল থেকে নারকেল। একপর্যায়ে স্যার বলেন, নারকেল ছিলে ঢুকার তাহলে বেশি ধরবে। যে কোন প্রধান শিক্ষকের নিকট দিয়ে বলেন, সুপার/সহ-সুপার নাম ভাঙিয়ে স্কুলে যান। পরে ব্যাস্ততার অজুহাত দেখিয়ে সুকৌশলে টাইম নে বলে সকল,নাস্তা ব্যাগে ভরে দিতে বলেন। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে বিভিন্ন এ্যাঙ্গেলে আমাদের (শিক্ষক) ফটো তুলে দিতে বলেন।
এছাড়া উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানাগেছে, রিসোর্স সেন্টারের একজন সামান্য কর্মচারী স্বপরিবারে সরকারি কোয়াটারে থেকে রাজস্ব বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করলেও ঈমান উদ্দিন তাকে সুপারের কার্যালয়ে ডেপুটিশন দেন। নিজে ভাড়াবাসায় থাকেন সরকারের রাজস্ব দেননা আবার কর্মচারীদের না দেওয়ার জন্য নিরুৎসাহী করেন। এবিষয়ে আশাশুনি উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর ঈদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইলে যোগাযোগ করলে তার স্ত্রী জানান তিনি বাজারে পরে কথা বলেন।



রিলেটেড পোস্ট

মতামত দিন

error: Content is protected !!